তালতলী, বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে পায়রা নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত আট গ্রামের মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে আছে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত এলাকার ডিপ টিওবয়েল গুলো প্রায় অর্ধেক সমান পরিমাণ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। গভীর নলকূপের বিশুদ্ধ পানি আট গ্রামের মানুষ না খেতে পেরে নদীর অস্বাস্থ্যকর পানি খেয়ে লোকজন পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শনিবার (১৬জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,প্লাবিত এলাকায় কিছু কিছু ডিপ টিওবয়েল গুলো পানির নিছে রয়েছে।জোয়ারে লবণ পানি টিওবয়েল গুলায় ঢোকার কারণে পানি ব্যবহার করতে পারছে না।টিউবয়েল পানির নিচে তলিয়ে থাকায় উচু স্থানের টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। গভীর নলকূপ বসালেও মাত্রা তিরিক্ত আয়রনের কারণে তা-ও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। প্লাবিত এলাকা গুলো হল- উপজেলার নিশানবাড়ীয়া,তেতুলবাড়ীয়া, জয়ালভাঙা, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, আশারচর, নলবুনিয়া, তালুকদারপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী,মৌপাড়া, ছোবগী, পঁচাকোড়ালিয়া এসব নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানিতে পাচঁ দিন ধরে তলিয়ে রয়েছে। বাধেঁর বাহিরের এলাকার রুবিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন,পাচঁ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে বাসা বাড়ি তলিয়ে আছে।তার উপরে বাসায় যে শুকনা খাবার ও শেষ এখন বিশুদ্ধ পানিতে ভুগছি। তেতুলবাড়ীয়া এলাকার হালিমা বেগম (৩৮) বলেন, নদীর পানি গরম করি পান করছেন তাঁরা। সে পানি খেয়ে অনেকের পেটে ব্যথা হচ্ছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০৭জনকে শুকনা খাবার দিছে। বিশুদ্ধ পানি সংকটের কোনো উত্তোরণ নেই।শুকনা খাবারের সন্ধানে ছুটছে প্রায় পাচঁ শতাধিক পরিবার। তালতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহাগ বলেন, পানি না কমা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পানি কমলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্লাবিত এলাকা গুলো পরিদর্শন করা হয়েছে।
তালতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সাদিক তানভীর মুঠোফোনে বলেন, এখন পর্যন্ত ১০৭ পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আর ও সহায়তা দেওয়া হবে।