আব্দুর রাজ্জাক, কুষ্টিয়া
কুষ্টিায় নারী, শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামী করে কুচ্ছিা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান। রবিবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুচ্ছিা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলম। গতকাল সোমবার দুপুরে সৌমেনকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নেওয়ার আবেদন করবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ হেফাজতে থাকা সৌমেন রায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তাঁর স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তিনি তাঁর স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুচ্ছিায় আসেন। এ সময় তিনি তাঁর পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। সৌমেনের ভাষ্য অনুযায়ী, সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করেন তিনি। এরপর আসমাকে গুলি করেন। এ সময় শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করেন। একটি ম্যাগাজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যবহার করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এএসআই সৌমেন এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুচ্ছিা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আসমা ও তার ছেলেকে নিজ বাড়ি কুমারখালীর নাতুড়িয়া গ্রামে ও শাকিল খানকে চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমমোড়ে আসমা খাতুন ও তাঁর ছয় বছর বয়সী ছেলে রবিন এবং শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আসমার স্বামী এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ সৌমেনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। রবিবার বিকেলে সৌমেনকে সাময়িক বরখাস্তকরার পাশাপাশি খুলনা রেঞ্জ ও কুচ্ছিা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সৌমেন বর্তমানে খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিল। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে।