ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা মৌজার একজন জমির ক্রেতা ক্রয়কৃত জমির বাকী টাকা পরিশোধ না করেই দখল নিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জমির মালিক ফজলুল হক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফজলুল হক কয়েক বছর আগে টাকার বিশেষ প্রয়োজনে স্থানীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে ধলা স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন স্থানে সোয়া ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বিক্রেতা ফজলুল হকের কাছ থেকে জমি ক্রয় করতে দরদাম ফয়সালা করে ৩শত টাকার ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে বায়না দিয়ে কাউলা ছাড়াই জমি ভোগ দখলে যান ও স্থাপনা নির্মাণ করেন। বাকী টাকা পরিশোধ না করায় দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পক্ষের মাঝে বিবেধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিক্রেতা ফজলুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিশেষ প্রয়োজনে বালিপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে ১১৩৯ নং খতিয়ানের সাবেক দাগ ২৩০৫/১ বর্তমান বিআরএস দাগ ৪৭০৬ এ থেকে সোয়া ৬ শতাংশ জমি ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করি, এ থেকে ক্রেতা আনোয়ার হোসেন একটা অংশ টাকা বায়না দিয়ে ৩শত টাকার ট্যাম্পের চুক্তিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আর এর মাঝেই আনায়ার হোসেন উক্ত জমিতে বসতি স্থাপন করেন ও জমিতে থাকা দোকানসমুহের ভাড়া আদায় করতে থাকে। আমি বাকী টাকা চাইতে গেলে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। আমার পাওনা বাকী টাকা না দেয়ার জন্য তালবাহানা করছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্রেতা আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এ জায়গাটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্য ধার্য করে স্থানীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে ৩শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিস্বাক্ষর করে বিক্রেতা হাজী ফজলুল হকের হাতে ৩৮ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেই। এরপর তিনি আমাকে জায়গা বুঝিয়ে দেন এরপর আমি ঘর বাড়ি নির্মাণ করি। আমি বার বার তাকে বাকী সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও তিনি টাকা না নিয়ে নানা টাল বাহানা করে জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেন না। লোকমুখে শুনছি তিনি এ জমি অন্যত্র বিক্রি করার জন্য নানা জনের সাথে যোগাযোগ করছেন। বর্তমানে জায়গার দাম বেশি পাবেন এ লোভে বিক্রেতা ফজলুল হক বাকী টাকাও নিচ্ছেন না আর জমিও কাউলা করে দিচ্ছেন না।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ৮ বারের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোঃ আঃ হাই এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, জমি বিক্রেতা ফজলুল হক বালিপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে সোয়া ৬ শতাংশ জমি ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন ও ৩৮ লক্ষ টাকা বায়না দিয়ে ৩শত টাকার ট্যাম্পে চুক্তি স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আর এর মাঝেই আনায়ার হোসেন জমিতে বসতি স্থাপন করেন ও উল্লেখিত জমিতে থাকা দোকানসমুহের ভাড়া আদায় করতে থাকে। ফজলুল হক বাকী টাকা চাইতে গেলে তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলেও শুনেছি। স্থানীয় বাসিন্দা আঃ রশিদ জানান জায়গাটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করে বিক্রেতা হাজী ফজলুল হককে ৩৮ লাখ টাকা স্থানীয় স্বাক্ষীদের উপস্থিত রেখে ৩শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে বিক্রেতার হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন এরপর ক্রেতা ঘর বাড়ি নির্মাণ করেন।