কামরুজ্জামান মিনহাজঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের সাউথকান্দা গ্রামের একটি ইটভাটায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙগুলি দেখিয়ে অবাধে কাঠ পোড়িয়ে বানানো হচ্ছে ইট। ইট ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এছাড়াও উপজেলায় আরও অনেক ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। জানা যায়, হরিরামপুর ইউনিয়নে ‘মেসার্স নবাব ব্রিকস’ নামের ইটভাটা এটি। এ ইটভাটায় শুধু কাঠ পুড়িয়েই ইট পোড়ানো হয়। এ ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ইটভাটা সংলগ্ন এলাকার মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও ফসলি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় তাদের ও বাচ্চাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ফসলাদি ও গাছপালা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তারা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। গত রবিবার দুপুরে সরেজমিনে নবাব ব্রিকসে গেলে এগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। ব্রিকসে প্রবেশের পর কাঠের ছবি তুলতে গেলে একজন শ্রমিক কাকুতি-মিনতি করে অনুরোধ করেন বলেন, কাঠগুলো আমরা অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছি, দয়া করে আমাদের ক্ষতি করবেন না। অন্য এক শ্রমিক বলেন, মালিক পক্ষের নির্দেশে কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলা ভুমি, কৃষিজমি, প্ররিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। রাস্তার কাছের চা বিক্রতা জামাল জানান আমরা এই ইট ভাটার মাটির গাড়ীর শব্দে ঘুমাতে পারি না ও দেখেন আমাদের দোকান পাঠ ফাটল হয়ে গেছে এত বেশী গাড়ী চলার কারনে।
হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, এ ইটভাটা আমাদের কাছ থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্স নেয় নাই। তারা কিভাবে চালায় তা আমরা জানিনা। আমরা অচিরেই নোটিশ করব।