ইন্দুরকানী, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (৯) কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মরছে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবি ছাত্রী চোখে তার অনেক স্বপ্ন একদিন লেখা পড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হবে। দরিদ্র মা, বাবার মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু মরন ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ার এই শিশুটি এখন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছেনা।
যে বয়সে দুরন্তপনায় বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে আজ তার মুখের দিকে তাকানো যায় না। থ্যালাসেমিয়া তাকে নিস্তেজ করে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে মুখের হাসি। দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন নিজ বাড়িতে শুয়ে দিন পার করছে, কবে স্কুলে ফিরবে বন্ধুদের সঙ্গে অপেক্ষায় দিন কাটছে তার। সুমাইয়ার বাবা মনির গাজী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা আর্থিক ভাবে অতটা স্বচল না থাকায় কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ফুলের মত মেয়েটিকে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
এরই মধ্যে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব মিলে কিছু অর্থের ব্যবস্থা করেছেন, যা দিয়ে তার চিকিৎসা চলছে কোন রকম। সুমাইয়াকে পুরো সুস্থ করে তুলতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। সুমাইয়ার বাবা মনির গাজী সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, তার সন্তানকে বাঁচাতে তারা যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ রব্বানী জানান, সুমাইয়া একজন মেধাবী ছাত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত থাকলেও বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। সুমাইয়ার বাবা আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তার সুস্থতার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এই সমাজের অনেক বিত্তবান রয়েছে তারা একটু হাত বাড়ালেই হয়তবা ছোট্ট মেয়েটি আবার সাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।