মাহফিজুল ইসলাম রিপন
রংপুরের বদরগঞ্জে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না পেয়ে বেলি এগ্রো লিমিটেড কোম্পনীর নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের গনধোলাই দিয়েছে শতশত এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পুলিশ নিরপরাধ ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছে মর্মে ভুক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রাম এলাকায়
সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সোনারপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেলি এগ্রো লিমিটেড নামে একটি স্বনামধন্য কোম্পানী রয়েছে। সম্প্রতিকালে কোম্পানী কর্তৃপক্ষ তার পাশের্^ হাইওয়ে সড়ক সংলগ্ন ৪০শতাংশ জমি কিনে জমির চারিদিকে প্রাচীর নির্মানের কাজ শুরু করেন। প্রাচীর নির্মান কাজ চলাকালে স্থানীয় সোনারপাড়া গ্রামের মমিনুল ইসলামসহ কিছু দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোকজন কোম্পানীর কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করেন। কিন্তু কোম্পানীর কেয়ারটেকার লিটন মিয়া তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্ত চাঁদাবাজরা প্রাচীর নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য অব্যাহত হুমকী দেন।
এ ঘটনায় গত ১২নভেম্বর বেলি এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর কেয়ারটেকার লিটন মিয়া বাদী হয়ে মমিনুল ইসলাম সহ ১২জনকে অভিযুক্ত করে বদরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে গত শুক্রবার সকালে থানায় ওই চাঁদাবাজীর অভিযোগ দায়েরের সুত্র ধরে মমিনুল ইসলাামের নেতৃত্বে মজমুল, মোক্তারুল, গোলাম, ভুট্রু, নাসিরুল, মজনু, মোসলেম, সুমন, সুজন ও মাগফেরাত আলী সহ ১৫/১৬জন দুর্বৃত্ত কোম্পানী কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠিসোডা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে বেলি এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর নির্মান কাজে বাধা দেয়। এ সময় শতশত এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে এগিয়ে এসে দুর্বৃত্তদের গনধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে তারা ৪/৫জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দেখিয়ে চাঁদাবাজ মজমুল হক বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাদের পক্ষ নিয়ে ১৪জন নিরপরাধ ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করে।
শনিবার থানায় মামলা দায়েরের পর সোনারপাড়া গ্রামের নিরপরাধ ব্যক্তিরা পুলিশের ভয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে দুরদুরান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি চলতি মৌসুমের প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কেউ কেউ যমুনেশ^রী নদীর ধারে রাত্রী যাপন করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এবিষয়ে গতকাল রবিবার বেলি এগ্রো লিমিটেড কোম্পানীর কেয়ারটেকার লিটন মিয়া ও এলাকাবাসী জেসিম সোনার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনারদিন চাঁদাবাজ মমিনুল সহ তার লোকজন কোম্পানীর প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দিলে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নাগেরহাট বন্দর সহ এলাকার শতশত লোকজন ছুটে এসে চাঁদাবাজদের গনধোলাই দেয়। অথচ, চাঁদাবাজদের কথা শুনে পুলিশ নিরপরাধ ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা নিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়ে উর্দ্ধন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন সুষ্টু তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।