নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৯-১২-২০২২ তারিখে বিসিক সচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত ০১-০১-২০২৩ তারিখে বিসিক স্মারক নং-৪৩৬৩ এর মাধ্যমে বিসিক ওয়েবসাইটে বিসিকের মহাব্যবস্থাপক ও সমমান পদ থেকে ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী পর্যন্ত কর্মরতদের গ্রেডেশন তালিকা হালনাগাদকরণ কমিটি পুনর্গঠন সংক্রান্ত অফিস আদেশ জনস্বার্থে প্রকাশ করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। পুনর্গঠিত এবং প্রকাশিত কমিটির ৭ জনের মধ্যে ৬ জন ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে প্রকাশিত গ্রেডেশন হালনাগাদকরণ কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
যার আহবায়ক ছিলেন কাজী মাহবুবুর রশীদ (পরিচালক, দক্ষতা ও প্রযুক্তি) সদস্য ছিলেন নেপাল চন্দ্র কর্মকার (পরিচালক, পরিকল্পনা ও গবেষনা), মোঃ আব্দুল মতিন (পরিচালক, পুরকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ণ) মোঃ মফিদুল ইসলাম (সাবেক সচিব, বিসিক), সহযোগী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন, কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রশাসন শাখা, সহযোগী কর্মচারী মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, উচ্চমান সহকারী, কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রশাসন শাখা, বিসিক, ঢাকা। উক্ত ৬ জন সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম, বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম, আইনের তোয়াক্কা না করে বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে, বেতন ভাতা বন্ধ রেখে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে এমন ১ জন কর্মচারীর নাম, মানহানিকর কাজ করে ২য় শ্রেনীর কতিপয় কর্মকর্তার নাম কর্মচারীর গ্রেডেশন তালিকায় লিপিবদ্ধ করে চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকা প্রকাশের সাথে যুক্ত ছিলেন। চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিবর্গ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। তারা অনুসরণ করেননি প্রচলিত জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিষয়ক সাধারণ নীতিমালা এবং জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০১১ এ উল্লিখিত বিধানের। প্রচলিত নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে সুকৌশলে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে নিজেদের খেয়াল খুশীমত উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করার কাজ করেছিলেন।
গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়ন বিষয়ে বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সুকৌশলে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে নিজেদের খেয়াল খুশীমত গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করার বিষয়ে ৪ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ- চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম এবং ৭ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ (পর্ব-২)-বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায়! শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সরকারী কার্য সম্পাদনে অযোগ্যতা, অদক্ষতা প্রদর্শন, অপেশাদারসুল্ভ আচরণ, অমানবিক আচরণ, সম্মাণহানিকর কাজ করার কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে পুনরায় তাদেরকে একই ধরণের কাজে নিয়োজিত করার বিষয়টি রহস্যজনক আচরণ, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য হতে পারেনা ।
২৯-১২-২০২২ তারিখে বিসিক সচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত ০১-০১-২০২৩ তারিখে বিসিক স্মারক নং-৪৩৬৩ এর মাধ্যমে বিসিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুনর্গঠিত কমিটির আহবায়ক (ক্রমিক নং-১), সদস্য (ক্রমিক নং-২, ৩, ৫,৬ ও ৭) চূড়ান্ত গ্রেডেশন প্রণয়ন ও প্রকাশের কাজে অযোগ্যতা, অদক্ষতা প্রদর্শন, অপেশাদারসুল্ভ আচরণ, অমানবিক আচরণ, সম্মাণহানিকর কাজ করে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত। ৪নং ক্রমিকে সদস্য পদে যাকে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য করা হয়েছে প্রশাসনিক কাজে তার কোন ধ্যান ধারনা নেই। প্রতিজন সরকারী কর্মকর্তা পেশাদারী মনোভাব নিয়ে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সরকারী দায়িত্ব সম্পাদনের বিধান আছে। সরকারী নিয়ম নীতির অবমাননা, অমানবিক আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন, সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা লংঘন করে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করণ, মানহানিকর কাজ, মিথ্যা ও প্রতারনামূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারী দায়িত্ব পালনে অবহেলা করণ, উস্কানীমূলক আচরণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বিষয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দালিলিক প্রমানের ভিত্তিতে সবিস্তারে সংবাদ প্রকাশের পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বহাল তবিয়তে আছেন দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণকারী বিসিক চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগী কর্মকর্তাগ্ণ!
দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকারী ব্যক্তিকে গ্রেডেশন কমিটির আহবায়ক! এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকারী ব্যক্তিবর্গ্কে গ্রেডেশন কমিটির সদস্য! মনোনীত করে কমিটি পুনর্গঠন আদেশ জারীর অনুমোদন প্রদান-আপাদমস্তক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং বে-আইনী কার্যক্রমে যুক্ত বিসিক চেয়ারম্যানের পক্ষেই সম্ভব। আইনের শাসন ও সু-শাসনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যে কোন কার্য সম্পাদন সিদ্ধহস্ত বিসিকে চেয়ারম্যান মুহঃ মাহবুবর রহমান। তার নেই কোন জবাবদিহীতা, নেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা। তার প্রতিটি কাজই কোন না কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়াচ্ছে। বিসিক চেয়ারম্যান এবং সরকারের যে কোন পর্যায়ের কর্মচারীদের কাজের সাথে সরকারের সুনাম এবং দুর্নাম জড়িত আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল দেশ ও জাতির কল্যানে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বে-আইনী কাজের সাথে জড়িতদেরকে জবাবদিহীতার আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন-এটাই প্রত্যাশা।