নীলফামারী প্রতিনিধি
শাশুড়ির কু-পরামর্শ ও বিভিন্ন উস্কানিতে স্ত্রীর বেপরোয়া চলাফেরায় অতিষ্ট হতভাগা স্বামী। ১৫ বছরের সংসার জীবনে ২ সন্তানের জনক হওয়া সর্তেও স্ত্রীর জালাতনে সূখী হতে পারেননি নীলফামারী সদরের নগর দারোয়ানী এলাকার মোছাহাক আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন ওরফে জামান(৪৫)। ১৫ বছর পূর্বে সুটিপাড়া এলাকার মোঃ সুলতান উদ্দিনের মেয়ে তুলিজন নাহার ওরফে লাকী বেগমের সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয় তাদের। বিয়ের ৫টি বছর যেতে না যেতে সামান্য বিষয় নিয়ে কথায় কথায় লেগে যায় ঝগড়া, এমনকি গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করেনা স্ত্রী তুলিজন নাহার ওরফে লাকী বেগম (৩৮)। স্বামী-স্ত্রী ঝগড়ার মধ্যে চলে আসে শাশুড়ি মর্জিনা বেগম (৫২)। মেয়েকে কু-পরামর্শ ও বিভিন্ন রকম উস্কানি দিয়ে আসায় লাকী বেগম হয়ে উঠে বেপরোয়া। মায়ের আশকারা পেয়ে স্বামীকে বেপরোয়া গালিগালাজ করে এবং জেলের ভাত খাওয়ানোসহ বিভিন্নভাবে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসে স্ত্রী লাকী বেগম।
মাঝেমধ্যে বাবার বাড়িতে যায়, এবং এভাবে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসে। এরই মধ্যে স্বামী ও ২ সন্তান রেখে আবারো বাবার বাড়িতে যায়, এবং দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় গত ১০/০৯/২০২২ তারিখে স্থানীয় কাজী মোঃ নজরুল ইসলামের মাধ্যমে স্ত্রী লাকী বেগমকে এক তরফা তালাক দেন জামাল উদ্দিন। এদিকে তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে গত ০১/০১/২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে শাশুড়ি মর্জিনা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে জামাল উদ্দিনের বাড়িতে আসে, এবং জোরপূর্বক ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এঘটনায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লাকী বেগম ও শাশুড়ি মর্জিনা বেগমকে আসামী করে নীলফামারী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বামী জামাল উদ্দিন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল গিয়ে জানাযায়, তাদের ১৫ বছরের সংসারে মোছাঃ সোহাগী আক্তার (১৪) ও মোঃ সোহাগ(৬) দুইটি সন্তান আছে। নিজের গর্ভজাত সন্তানরাও অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে মায়ের বিরুদ্ধে। মেয়ে সোহাগী আক্তার জানান, আমার মা এতটাই খারাপ যা মুখে নেয়াটাও পাপ। আমার বাবা ও আমাকে নিয়ে নানান সন্দেহ করে এই সন্দেহের কারণে আব্বার সঙ্গে আমার মায়ের ঝগড়া লেগে থাকে, মা”তো নয় যেন ডাইনী। তাকে মা বলে ডাকারো লজ্জা লাগে। ছেলে সোহাগের মুখে জানাযায়, ছোট থেকে মায়ের আদর পায়নি, বাবার কাছে বড় হয়েছে। সে জানায়, আমি আমার বাবার কাছে থাকবো আমার মা যখন আমাদের বাড়িতে ছিল, তখন বাবার সঙ্গে সব সময় খারাপ আচরণ করতো।
অমন মা আমাদের দরকার নেই। এতোদিন বাড়িতে ছিরো না আমরা ভালোই ছিলাম। তালাকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাবার সাথেই সহমত পোষণ করেন তারা। এ বিষয়ে লাকি আক্তার বলেন আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে, আমি কোন কাগজ পাইনি আর তাছাড়া আজকে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে তিন মাস পরে এসেছি আমাকে ডিভোর্সের কাগজ এবং সঙ্গে ১১লক্ষ টাকা যা আমার কাছ থেকে আগে নিয়েছিল এবং নষ্ট করেছে, সেই টাকা আর কাগজ বুঝিয়া পেলে আমি চলে যাব, আর যদি না দেয় আমি আমার সংসার করবো এ বাড়ি থেকে বের হবো না টাকা না পাওয়া পর্যন্ত। স্ত্রীর কারনে অর্ধপাগল জামাল উদ্দিন বলেন, আমাকেসহ আমার বাবা-মা ও ভাইবোনদেরকে মারধর করেছে। আমার মেয়েকে ছোট থেকে দেখতে পারেনা। আমার নিজের মেয়েকে দিয়ে সন্দেহ করে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। স্ত্রীর অত্যাচারে অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। তাকে তালাক দেয়ার প্রায় চারমাস অতিবাহিত হয়েছে। এখন সে হঠাৎ বাড়িতে এসে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমি আইনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি, আপনারাও এসেছেন আমি এর ন্যায় বিচার চাই।