মাহফিজুল ইসলাম রিপন
দেশ বিদেশের ৪৫ জন প্রথম শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে রংপুরে গঠিত ভার্চুয়াল বন্ধু’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “হোপ ফর লাইফ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নন প্রোফিট অর্গানাইজেশন শর্তে সংগঠনটির প্রধান উদ্যোক্তা ও সভাপতি, গ্রুপের সদস্যদের নিকট দুস্ত ও গরিবদের সাহায্য সহযোগিতার অনুদান নিয়ে সঠিক ভাবে বন্ঠন করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী । তাছাড়াও সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অস্পষ্ট দেখে “হোপ ফর লাইফ” গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছে অনেক সদস্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় রংপুরে কয়েক জন বন্ধু মিলে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রবাসীদের সমন্বয়ে ভার্চ্যুয়াল বন্ধু গ্রæপ “হোপ ফর লাইফ” নামের সংগঠনটির জন্ম হয় ২০১৬ সালে।
স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির প্রধান উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠতা সভাপতি সদস্যদের নিকট মাসিক চাঁদা সহ আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে শত শত অসহায় পরিবারের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসলেও সংগঠনের আয়-ব্যায়ের হিসেব সদস্যদের মাঝে প্রকাশ না করায় স্বেচ্ছাসেবী ডোনারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সংগঠনটির কল্যাণ সার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সদস্য প্রতিবেদক কে জানান, সভাপতি আন্জূমান আরা মিতু তার একক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে বিভিন্ন সদস্য’র নিকট আর্থিক অনুদানের টাকা সংগ্রহ করেন এবং নিজের ইচ্ছা মত ব্যয় করেন । আয় ব্যয়ের হিসাব বিগত ৪ বছরেও তিনি কারো কাছে প্রকাশ করেনি। এছাড়াও তিনি সংগঠনের কারো তোয়াক্কা না করে নিজের বিকাশ একাউন্টে স্বেচ্ছাসেবী দাতা সদস্য’র কাছে অর্থ নেয়ার অভিযোগ তুলেছে।
এ বিষয়ে সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক সুরভী বেগম জানান, আমাদের সব আয় ব্যয়ের হিসাব হোপ ফর লাইফ’র গ্রæপ মেসেঞ্জারে দিয়ে থাকি, আমরা সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্বচ্ছতার সহিত কাজ করে যাচ্ছি। এবিষয়ে সভাপতি আন্জূমান আরা মিতুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা ৪৫জন সদস্য প্রতিমাসে ২০০টাকা করে চাঁদা নিয়ে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করি। এছাড়াও হোপ ফর লাইফ” পরিবারের অনেক সদস্য আছে যারা তাদের যাকাতের টাকাও আমাদের একাউন্টে দেয়,আমরা সেই অর্থে এতিম অসহায় মেয়ের বিয়ে দেয়া, প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, গৃহহীন মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সহ এতিম শিশুর শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়ে আসছি। আর ভালো কিছু করতে চাইলে কেউ না কেউ ভুল ধরবেই,এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান সামনে ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঘটবে।