শওকত হোসেন,ধামরাই, ঢাকা
ঢাকার ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গুরোগ্রামের মুত কাজী গফুরের স্ত্রী ফুল খাতুন (৭৫) নামের এক জীবিত মহিলা কে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড পরিবর্তন করে টাকার বিনিময়ে ফুলবানু নামের আরেক মহিলা কে করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। সরজমিনে গেলে ফুলখাতুন জানায় আমি গত ৫ বছর আগে থেকে বয়স্ক ভাতা পাই।
আমি অত্যন্ত গরিব ও অসুস্থ্য হওয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান আলাল দেওয়ান আমার বয়স্ক ভাতার কার্ডটি করে দেয়, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস পরপর ১৫০০ টাকা করে পাই,যা দিয়ে আমার হাত খরচ ও চিকিৎসা চলে কিন্ত গত তারিখে আমার টাকার কোন মেসেজ না আসায় আমার ছেলে নুর মোহাম্মদ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারে আমাকে মৃত দেখিয়ে মেম্বার ফুলবানু নামের এক মহিলাকে ভাতার কার্ড করে দিয়েছে মেম্বার আব্দুল মান্নান। এই বিষয়ে জীবিত ফুলখাতুন আরো বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার মান্নান আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমার ভাতার কার্ড পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখালো, আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে নুর মোহাম্মদ বলেন মান্নান মেম্বার হওয়ার পর থেকেই এরকম একের পর এক অপরাধ করে চলছে, আমরা নাকি তাকে ভোট দেইনি, তাই সে আমার মায়ের বয়স্ক ভাতা কার্ড বাতিল করেছে, সে আমার জীবিত মা কে মৃত দেখিয়েছে, এটা সে খুব খারাপ করেছে, আমি এর বিচার চাই। এই বিষয়ে মেম্বার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি না। আপনারা যা পারেন করেন। এই বিষয়ে যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজু বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মেম্বার যদি এ রকম করে থাকেন তাহলে সে অনেক খারাপ করেছে। এই বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা এস এম হাসান বলেন, আমি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত নই। তবে কেউ যদি নাম পরিবর্তন করে তাহলে চেয়ারম্যানের রেজুলেশন লাগে। যদি মেম্বার এমন কাজ করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।