ধামরাই প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিযনের গাংগুটিয়া বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী খননের মাটি ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফরহাদ হোসেন (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এই সময় জাকারিয়া নামে একজন কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছেন স্থানীয় জনগন। নিহত ফরহাদ হোসেন গাংগুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুনালাই গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন ধনু বেপাড়ীর ছেলে।আটক জাকারিয়া একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, জাকারিয়া ও মতিউর রহমানের মধ্যে মাটির ব্যাবসা কে কেন্দ্র করে মাস খানিক পুর্বে মারামারি হয়, সেই মারামারিতে জাকারিয়া গুরুতর আহত হয়ে অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
পুর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাকিরিয়ার নেতৃত্বে ৮/৯ জন লোক মতিউর রহমানের উপর হামলা করে, বাজারে মানুষের সামনেই মতিয়ার কে পিটাতে থাকে। এ সময় ফরহাদ হোসেন তাদের থামাতে গেলে জাকারিয়ার হাতুড়ীর আঘাতে ফরহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পরও জাকারিয়া তার হাতের দেশীয় আস্ত্র নিয়ে ফরহাদকে আঘাত করতে থাকে। পরে বাজারের লোকজন দৌড়িয়ে এসে জাকারিয়াকে আটক করে এবং ফরহাদকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়,পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই বিষয়ে মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমি আর পরহাদ সন্ধ্যা সময় বাজারে বসে আলাপ করছিলাম, পরে দেখি জাকারিয়া তার বাহিনী নিয়ে মতিউর রহমানকে মারতে আসছে আমি ও ফরহাদ থামাতে যাই।
সেখানে জাকারিয়ার হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে ফরহাদের মাথায় আঘাত করলে ফরহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পর ফরহাদকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, গাংগুটিয়া ইউনিয়নে মাটির ব্যবসাকে কেন্দ্র জাকারিয়ার আঘাতে ফরহাদ হোসেন নিহত হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকারিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের ছোরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।