মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর এবং কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মনু নদী‘র বন্যা প্রতিরোধ ও নদী ভাঁঙ্গন রোধ কল্পে গত ২০২০ সনে প্রণীত “মাষ্টার প্রকল্প” ৯৯৬ কোটি ২৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা একনেক কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিত হলেও বাস্তবে ভৌত কাজ হবে সাড়ে ৬শত কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা জমি অধি গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ভ‚মি মালিকরা পাবেন। মাট পর্যায়ে কাজের ভৌত অগ্রগতি ২৭ পার্সেন্ট হলেও প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে ঘাটতি থাকায় অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকরা তাদের জমির মূল্য এখনও টাকা বুঝে পাননি। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থ বছরওয়ারী প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে ঘাটতি, থাকায় ঠিকাদার মহলের ধীরে চলা নীতির কারণে ঘুরপাক খাচ্ছে সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি। মৌলভীবাজার পাউবো সুত্র জানায়- প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প খাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৫৯ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে বরাদ্দ এসেছে ৩কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে বরাদ্দ এসেছে ৫৪ কোটি টাকা। এই অপ্রতুল বরাদ্দের ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২২৯ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখনও প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় হয়নি। তার বাহিরে ঠিকাদারদের বকেয়া পাওনা দাড়িয়েছে ৮০-৯০ কোটি টাকা। জানা গেছে- প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টেন্ডার গ্রহনের ভিত্তিতে ৫৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে কর্মসম্পাদনের জন্য বাঁছাই করা হয়। ফ্লাডওয়াল নির্মাণ, জিও ব্যাগ প্রতি স্থাপন, বøক ও মাটির কাজ চলছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ঠিকাদারী প্রতিষ্টানই জেলার বাহিরের। যথা নিয়মে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলো কাজ করতে চাইলেও মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে। প্রকল্পের মধ্যে তীর সংরক্ষণ প্যাকেজ ৫১টি এর মধ্যে ৪টি দরপত্র, ফ্লাডওয়াল ২টি এর মধ্যে দরপত্র ১টি, বাঁধ শক্তিশালী করণ ৮টি প্যাকেজ। এর মধ্যে ৮টি দরপত্র হয়ে গেছে। চর অপসারন ৭টি, এর মধ্যে ৭টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মোট ১৫টি কাজের মধ্যে স্থানীয় লোকজন বৈধ লাইসেন্স এর মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ৭টি কাজ পান। যাহা এখনও ( মাটির কাজ) শুরু হয়নি। এ ব্যপারে মৌলভীবাজার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন- প্রকল্পের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ২৭ পার্সেন্ট। প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ে ঘাটতি থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন, বাঁধ নির্মান ও মেরামতের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে অনিয়ম ও দুর্ণীতির কোন সুযোগ নেই। যারা অভিযোগ এনেছে তাদের এই প্রকল্প সর্ম্পকে বাস্তব ধারনা নেই।