নলতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হাকিমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আব্দুল হাকিম নলতা বাগমারী গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ী আব্দুর রাশেদের কন্যার সঙ্গে প্রথমে ধর্ম-বোন পাতিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তার স্ত্রীকে ধর্ম-মা ডেকে তার সঙ্গেও যুগল পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে গোপনে যাতায়াত করতে থাকে। এক পর্যায়ে রোজ শনিবার ৯ই নভেম্বর আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়া নিয়ে গত ১৩ই নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সিভিল সার্জনের। উক্ত খবরকে কেন্দ্র করে সিভিল সার্জন এর নির্দেশে তদন্ত দল গতকাল নলতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

গত ১৭ই নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত সি এস সাত/সা:/১/২০২৪/-২৪৫৬ নং স্মারকে গঠিত দেবহাটা উপ-জেলার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিপা রানী ঘোষ, প্রধান অফিস সহকারী আব্দুর রাশেদ এবং কালিগঞ্জ উপ-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ডাঃ ইয়াসিন আলম এর তত্ত্বাবধানে রোজ বুধবার ২০শে নভেম্বর বেলা ১১ টার সময় নলতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে জমা দেন। তদন্তের সময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকা ৯ জন নারী ও পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট থেকে ঘটনার বর্ণনা এবং লিখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তবে তদন্তর আগে সাক্ষীদেরকে ভয়-ভীতি এবং আব্দুল হাকিমের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য মার মুখি আচরণ করেন। ঐ সময় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় । পরে তদন্তকারী দল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হাকিমের ক্যাডার বাহিনী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায় ।

তদন্ত কার্যক্রমের সময় গ্রামের বহু উৎসুক জনতা সকাল থেকে নলতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভিড় জমাতে দেখা যায়। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বাগমারী গ্রামের মনিরুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, রত্না ,খুশি সহ একাধিক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান, গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র দুই সন্তানের জনক নলতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আব্দুল হাকিম ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার স্ত্রী একাধিকবার তাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপরও তার লাম্পট্ট থেমে থাকেনি। বাগমারী গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ী আব্দুর রাশেদ তদন্তের স্বীকারউক্তিত সাংবাদিকদের জানান এবং লম্পট আব্দুল হাকিমের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

আব্দুল হাকিম এর নিকট এই ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি আমাদের কন্ঠ প্রতিনিধিকে জানান, “পূর্ব পরিচয় আত্মীয়তার সুবাদে তাদের বাড়িতে গেলে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

তদন্ত কর্মকর্তা ডাঃ নিপা রানী ঘোষ আমাদের কন্ঠ প্রতিনিধিকে জানান, “আপনাদের সামনেই তদন্ত সম্পন্ন হলো আমি যেটা পেয়েছি সেটা প্রতিবেদন হিসাবে জমা দেবো যা ব্যবস্থা নেওয়ার সিভিল সার্জন স্যার নেবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *