একেএম.জিলানী, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কসবা মৌজার খাস খতিয়ানভূক্ত হাল ৩৯৬ নং দাগে নৈমুদ্দিনের ছেলে তৈমুর ও ইদ্রিস আলী এবং মৃত আফসার আলীর ছেলে আব্দুল খালেক সরকারি রাস্তা অবরুদ্ধ করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ফেলে। ফলে ওই গ্রামের হাটখোলা থেকে বিজয় কর্মকারের বাড়ি পর্যন্ত ৫০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং ওই এলাকার প্রায় ৫০০বিঘা জমির ধান কৃষককে মাথায় করে তুলতে হয়েছে। গত ২১/৩/২০১৮ইং তারিখ ও ৫/১১/২০১৯ইং তারিখ কসবা গ্রামের ৫০টি অবরুদ্ধ পরিবারের পক্ষে মৃত ইদ্রিশ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুদ রানাসহ ৫০জনের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব),চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরাবর সরকারি রাস্তার উপর নির্মিত বাড়ি উচ্ছেদ করে সরকারি রাস্তা পূণরুদ্ধারের জন্য দাখিল করেন। যথারীতি আবেদন পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ততক্ষনাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাচোলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২২/৩/২০১৮ইং তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর/১১৮স্মারকে কসবা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে কসবা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ১৭/৪/২০১৮ইং তারিখ আর/৩৫৯ নং স্মারকে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রতিবেদন দাখিল হলেও আজ অবধি ওই রাস্তা অবরুদ্ধ করে নির্মিত বাড়িগুলি উচ্ছেদ করে সরকারি রাস্তাটি আবমুক্ত করা হয়নি। কসবা গ্রামের হাটখোলা থেকে বিজয় কর্মকারের বাড়ি পর্যন্ত চলাচলের সরকারি রাস্তায় বাড়ি নির্মান করার ফলে রাস্তা বন্ধ থাকায় ওই গ্রামের প্রায় ৫০০বিঘা জমির ধান মাথায় করে উঠাতে হয়েছে কৃষকদেরকে। কসবা গ্রামের ৫০টি পরিবারের ক্ষুব্ধ জনসাধারণ জানান, ২বার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেও ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে রাস্তাটি দখলমূক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়নি। এবিষয়ে সহকারি কমিশনার(ভূমি) খাদিজা বেগম জানান, করোনাকালে দেশে লকডাউন থাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহাদয়ের আদেশ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাস্তাটি অবমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় হবে। এবিষয়ে কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেন, করোনার জন্য তাদের বিষয়টি আটকে আছে। এবিষয়ে রাস্তায় বাড়ি নির্মানকারি মৃত আফসার আলীর ছেলে আব্দুল খালেক বলেন, প্রায় ১৫বছর পূর্বে বাড়ি নির্মান করেছি। প্রশাসনের ক্ষমতা থাকলে আমার বাড়িঘর ভেঙে ফেলুক। খালেকের ছেলে আশরাফুল বলেন বাড়ির পাশে ছাড়া ফাঁকা যায়গাটি বন্ধ করে দিব, পারলে গ্রামবাসি রাস্তা অবমুক্ত করুক। রাস্তার উপর নির্মিত বাড়ির মালিক তৈমুরের ছেলে রেজাউল বলেন, সরকারি আদেশ পেলে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলবেন। অপর বাড়ির মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, বাড়িঘর নির্মানের সময় কেহ বাধা দেয়নি। এখন বিকল্প রাস্তা বন্ধ হয়েগেছে তাই আজ বাড়ি ভাঙার কথা উঠছে। পারলে সরকার বাড়ি ভেঙে ফেলুক।
শুক্রবার, জুন ২
সংবাদ শিরোনাম
- চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ
- লালমনিরহাটে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ২
- পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে মৎস্য ঘেরে দখল চেষ্টা
- কক্সবাজারে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২
- খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
- রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হোটেল বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের মৃত্যু
- আইএমএফের পরামর্শ মেনে বাজেট করেনি সরকার: অর্থমন্ত্রী
- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় লিফট কিনতে ৬ জনের তুরস্কে যাওয়া স্থগিত