রাজাপুর, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
দুগ্ধ খামার বর্তমানে একটি লাভজনক শিল্প। গাভীর খামার বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্যবিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশে দুধের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। বাড়ির ভিতরে নিজস্ব উৎপাদনে এলাকায় দুধের ঘাটতি মেটাতে বড় পরিকল্পনা নিয়েছে মাহফুজা আক্তার নামের এক নারী উদ্দ্যোক্তা। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে বছর দেড় বছর আগে ১০টি গাভী দিয়ে দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করেন মাহফুজা আক্তার। বর্তমানে তার খামারে অষ্ট্রেলিয়ান,পাকিস্থানী, শাহীওয়াল এবং দেশী প্রজাতির প্রায় ৭০ টি গরু রয়েছে। খামারের নাম “জেনারেল এ্যাগ্রো পার্ক”। পশু লালন-পালনের প্রয়োজনীয় ভবন, শেড ছাড়াও খোলা উঠান বানিয়ে লোহার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে যাতেকরে গবাদী পশুগুলো দিনের বেলা মাঠের মত বিচরন করতে পারে। এই খামারের গাভী গুলোকে কোনো রাসায়নিক ফিড খাওয়ানো হয়না। পশুখাদ্যের জন্য খামারের পাশেই এক একর জমিতে “নেপিয়ার পারচুন” নামের বিদেশী এক প্রকার ঘাসের চাষ করেছেন। এছাড়া রংপুর থেকে ভুট্টার সাইলেস এনে এই খামারের গাভীকে খাওয়ানো হচ্ছে। এখানে খামার পরিচর্যাকারী হিসেবে কাজ করেন আট থেকে জন শ্রমিক। প্রতিদিন দুধ সংগ্রহের পাশাপাশি গোবর দ্বারা বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করে জ্বালানি উৎপাদনের প্রত্রিুয়া চলমান রয়েছে। খামারের ভিতর এবং বাহিরের চারিপাশ দিনে দুবার জীবানু নাশক দিয়ে পরিস্কার করা হয়। এছাড়া পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাতো আছেই। এই খামারে ‘গরুর পাশাপাশি ছাগল এবং কবুতরের খামার বানানোর পরিকল্পনা ও করেছেন এই উদ্দোক্তা। উন্নত জাতের কয়েকটি ছাগল এবং বেশ কিছু কবুতর সংগ্রহ করেছেন তিনি। উদ্দোক্তা মাহফুজা আক্তার লুনা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন,আমি আসলে সরকারি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষে এবং এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য এই খামারটি করিছি। খামার শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা ও চাঁদা দাবী করে আসছে একটি দুষ্টচত্রু। যে কারনে খামার পরিচালনায় আমি আগ্রহ হারাচ্ছি।আমি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি যাতে করে এই দুষ্টচত্রেুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আমার এই খামারটি পরিচলনা করতে পারি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা ঃ দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রাণিসম্পদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সেক্টর হচ্ছে ডেইরি খামার।আমাদের রাজাপুরে ছোট বড় প্রায় ৯৩ টি ডেইরি খামার আছে। জেনারেল এগ্রো পার্ক নামের খামারটি সর্ম্পন্ন আধুনিক ব্যবস্থায় গড়ে তুলেছেন মাহাফুজা আক্তার নামের এক সাহসী নারী উদ্দোক্তা। এই খামারটি সঠিকভাবে পরিচালিত হলে বরিশাল বিভাগের মধ্যে সেরা খামারি হিসেবে পরিচিতি অর্জন করবে এই নারী উদ্দোক্তা।