নিজস্ব প্রতিনিধি:
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নারী নির্যাতন ও সা¤প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তিনি আজ রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সস্য অধ্যাপক বিশ্বজিত চন্দ। স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নির্যাতন ও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনার বিষয়ে সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যযাতন থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন। সা¤প্রায়িকতার বিষবষ্প যেনও আপনাদের হৃদয় মনকে আচ্ছন্ন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সা¤প্রদায়িকতা আমাদের জীবনকে প্রায়শই কুলশিত করে, আমাদের ব্যথিত ও পীড়িত করে, আমাদের গৌরবকে কালিমা লিপ্ত করে। আমরা সা¤প্রদায়িকতাকে ূর করে দিতে চাই। অসা¤প্রায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখ লাখ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সেই রাষ্ট্রটিকে আবার সাম্প্রদায়িকতা যেন ফনা তুলতে না পারে। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমরা যেনও বৈষম্য না করি, বৈষম্য যেন দূর করতে পারি। নারী নির্যাতনকারীরে যে পরিচয়ই থাকুক না কেনও তকে বিচারের আওতায় অবশ্য অবশ্যই আনা হবে। সা¤প্রদায়িকতা যেমন পরিত্যর্য, সা¤প্রদায়িকতাকে যেমন প্রতিহত করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতনকেও দূর করতে প্রতিহত করতে হবে। কোনও ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নারী নির্যাতন বা সা¤প্রায়িকতার মতো অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা সেটি শেখ হাসিনার সরকার হতে দেবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামনে একটি নির্বাচন আছে তাই তার আগেই ধর্মের ধুয়া তুলে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এখন যেভাবে বিন্যাস্ত আছে তাতে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখন মডিউলার এডুকেশের সময় যাচ্ছে। পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতায় গড়ে তুলতে হবে। মডিউলার এডুকেশনের সঙ্গে সঙ্গে বেøল্ডেড এডুকেশনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কাজের জায়গা থেকে নিজেকে আপস্কিল করবেন, রিস্কিল করবেন। এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে উচ্চশিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র, জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র, তাই সেখানে গবেষণার কোনও বিকল্প নেই।
