আব্দুল মালেক, নীলফামারী
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি, অসৎ আচারণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি অর্থ অপচয় করনে তার অপসরণের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদানের জন্য রুদ্ধদার বৈঠক করেছেন ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। তাদের স্বাক্ষরিত স্বারক লিপিতে উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যানগনদের অবমূল্যায়ন, অশ্লীল ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আচরণ, গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি, বাস্তবায়নকৃত টিআর/কাবিখা তদন্ত করার নামে হয়রানি ও উক্ত প্রকল্পের ২০% উৎকোচ গ্রহন, ভি ডাবিউ.বি(ভিজিডি) কার্ডের তালিকা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে যাচাই বাছাই করা, আশ্রয়ন প্রকল্প গুলোতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও প্রকল্পের ঘর প্রকৃত ভুমিহীনদের না দিয়ে নিজ পছন্দের স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের নামে বরাদ্দ, চেয়ারম্যানদের নামে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেন নিজ খেয়াল খুশিমত।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও কাচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আমরা ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অবগত করেছেন। তিনি আমাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বস দেন। নীলফামারীর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ এর কাছে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যকার বিরোধ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে চেয়ারম্যানগন আমার কাছে আসে নাই কোন প্রকা অভিযোগ দেয় নাই।
তিনি বলেন, তারা (চেয়ারম্যানরা) আসলে উভয় পক্ষ নিয়ে বিরোধ নিরসনের চেষ্টা করা হবে। অভিযুক্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন নাহার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই সংক্রান্ত বিষয় অবগতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে মাননীয় সংসদ সদস্য নীলফামারী-২, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবলয় ঢাকা, সচিব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবলয় ঢাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবলয় ঢাকা, বিভাগীয় কমিশনার রংপুর, সহকারী পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ নীলফামারী।