মোঃ মনিরুল ইসলাম, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা আঙ্গারিয়া বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর অব্যহত ভাঙনে প্রতিদিনই বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলিজমি, মসজিদ, মন্দির, বসতঘরসহ নানা স্থাপনা। সেইসাথে নদীগর্ভে চলে গেছে হাজারো মানুষের সাজানো স্বপ্ন। ইতোমধ্য অনেকের চিরতরে মুছে গেছে অনেক চিহ্ন হারিয়ে গেছে জীবনের নানা স্মৃতি।
তাই আশ্বাস নয় স্থায়ী সমাধানের দাবী ভুক্তভোগীদের। অপর দিকে মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার বসতঘরসহ হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন একাধিক পরিবার। এলাকায় তাদেরমতো জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে আরো অসংখ্য মানুষ। আবার কেউ কেউ ঘরবাড়ী হারিয়ে এলাকার সড়কের পাশে কিংবা অন্যের জমিতে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে কোনরকম করছেন বসবাস। স্বাধীনতার ৫দশকের মধ্যে নদী পাড়ের মানুষ কয়েক দফায় ঘরবাড়ীসহ নানা স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যস্থানে। সেই সাথে পায়ড়ার কড়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
ভাঙ্গনে এখনো প্রায় ২কিলোমিটার এলাকার মানুষের মাঝে চলছে আতংক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন বহু বছর ধরে ভাঙ্গন রোধে নানা মহলের কাছে জানালে এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এবিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হালিম সালেহী বলেন জেলার অনেক জায়গায় নদী ভাঙ্গন রয়েছে তবে দুমকি উপজেলার বাহেরচর নামক স্থানে হঠাৎ করেই জোয়োরের চাপে জমিজমাসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলিন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আমি উবর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এবং স্থায়ীভাবে কিছু করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। চলমান সমস্যা উত্তরণে এলাকাবাসী নানা সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও আশ্বাস ছাড়া কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই এবার আশ্বাস নয় জিউবি ব্যাগ ও বøক দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রæতই স্থায়ী সমাধানের দাবী স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।