মনিরুলইসলাম, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত শতাধিক দোকান-পাট ভস্মিভূত হয়েছে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। জানাযায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট দুইঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের কড়া নজরদারী আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুনের সুত্র পাতের সঠিক কারন এখনও জানা যায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবী অন্তত শতাধিক দোকান-পাট আগুনে পুড়ে গেছে।ফায়ারসার্ভিসের বরিশালবিভাগের উপ-পরিচালক এ বি এম মোন্তাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, মেসেজ পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ছয়টি ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌছায়। ২ ঘন্টা চেষ্টার পরে মোটামুটি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি বলেন আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাবেনা। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। আগুন লাগার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ব্যবসায়ীরা। যার যার দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে রাস্তার পাশে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা বা হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। অসহায় দোকানিরা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন নিউ মার্কেট থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাত্র ৫ মিনিটের পথ হলেও ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌছতে দেরী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা তারা আরও জানান পৌরসভা থেকে এখানে বহুতল ভবন তৈরীর কথা জানিয়ে তাদের একাধিকবার ব্যবসায়ীদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেরীতে আসা এটি পরিকল্পিত কিনা সে সন্দেহ প্রকট হচ্ছে। নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহ জালাল খান ও জানান সব মিলিয়ে আগুনে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পৌর সভার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান এটি পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে ক্ষতিগ্রস্থদের মালামাল যাতে চুরি না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।