খায়রুল আলম রফিক :
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল মতিনের বাড়ি দেখে চোখ ছানাবড়া জেলাবাসীর। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড মসজিদ রোড,টাউন কালিকাপুর এলাকায় ২১ শতাংশ জমিতে বাউন্ডারিতে আবৃত মাঝে ৫ শতাংশের মাঝে স্থাপিত ডুপ্লেক্স বাড়ি। মনকাড়া দৃষ্টিনন্দন এই আলীশান বাড়িটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার। এমনটাই বলেছেন,পটুয়াখালী পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, প্রাসাদোপম যে বাড়ির বাইরে এত সৌন্দর্য ভেতরে না জানি আরো কত বিলাসবহুল। এই বাড়ি দেখতে প্রতিদিন ভিড় লেগেই থাকে। এত অনিন্দ্য সুন্দর বাড়ি তিনি কিভাবে করলেন ? কোথা থেকে এত টাকা পেলেন। এমন অনেক কথা বলেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জনের পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হন ডা: মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। পরে তিনি পটুয়াখালি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। তার স্ত্রী নাম রুবি আক্তার তিনি একজন গৃহিনী। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিন্মমানের কাজ সম্পাদিত হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে বাড়ি নির্মাণের টাকা জোগাড় হচ্ছে। যদিও ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিনের দাবি, তার বোন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। তার অফিসের প্রধান সহকারি হাসান দৈনিক আমাদের কন্ঠকে জানান, স্যারের বোন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব এবং আরেক ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তাদের টাকা দিয়েই বাড়ি করেছেন তিনি। হাসান বলেন, স্যার সৎ মানুষ, অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটি করেছেন, তিনি দুর্নীতিবাজ নন। স্থানীয় আব্দুর রশিদ দৈনিক আমাদের কন্ঠকে জানান, ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিনের বাড়ির কোটি টাকার জমিসহ আশেপাশে আরো অনেক জমি ক্রয় করেছেন। সবাই জানেন তিনি অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বাড়ির চারপাশে অনেক সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন। স্থানীয় আলা উদ্দিন জানান, গোটা পটুয়াখালি জেলার কোথাও এমন একটি মডেলের বাড়ি নেই। বাড়ি দেখে রীতিমত বিব্রত সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারাও। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) বিষয়টি তদন্ত করলে, মানুষের এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিনের সাথে তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয় । তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তিনি ।