চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হওয়া আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা ও ধুমকেতু’র সংযোগসহ অন্য ট্রেন পুনরায় চালু না হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যেন রেলওয়ের গা-ছাড়াভাব। অনেকেই বলছেন, কারো স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এ ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। যেন এ জেলার প্রতি রেলওয়ের বিমাতাসুলভ আচরণ। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেলকর্তৃপক্ষ। পুনরায় চলতি সালের ১ আগস্ট রাজশাহী থেকে পদ্মা ও ধুমকেতু চালু হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেন চালু না হওয়ায় যাত্রীরা প্রতিনিয়তই পড়েছে দুর্ভোগে। স্বাভাবিক সময়ে পদ্মা এক্সপ্রেসের সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলষ্টেশন থেকে দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে ছেড়ে সেটি রাজশাহী স্টেশনে বিকেল পৌনে ৪টায় পৌঁছাতো। আবার সেই কমিউটার ট্রেনটি সাড়ে ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যোশ্যে ছেড়ে আবার রাত ৯ টার ৫০ মিনিটে ধুমকেতুর যাত্রীদের নিয়ে ১ ঘন্টায় রাজশাহী পৌঁছে দিতো। বর্তমান সময়ে সেটি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক যাত্রীকে রাজশাহীর হোটেল বা আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রিযাপন করার পর ট্রেনগুলোতে যাত্রা করতে হচ্ছে। এতে করে যেমন বাড়তি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে, তেমনি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। যাত্রীরা দুপুরে পদ্মা এক্সপ্রেসের সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেনে করে অনায়াসে রাজশাহী যেতে পারতো। অপরদিকে রাত সোয়া ১১টায় রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেন ধুমকেতুর সংযোগ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কমিউটার ট্রেন ৯ টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে সেটিতে যাত্রীরা উঠতো। সারাদেশে ট্রেন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এখান থেকে সে ট্রেনগুলো চালু করা হয়নি। এছাড়া, অরক্ষিত রেলষ্টেশনটিকে এখন পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা না করায় যাত্রীরা যেমন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে, তেমনি ষ্টেশনে অনাকাংখিত ঘটনাও ঘটছে। সুশীল সমাজ বিগত সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেন চালুর দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানান, চাহিদানুযায়ী লোকবল এবং ইঞ্জিন ও কোচ কম থাকায় এ ট্রেনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া অনেক কোচ অকেজো হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ওয়ার্কশপে মেরামতের কাজ চলছে। তবে, এসব ট্রেন চালুর ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রয়েছে।