নিজস্ব প্রতিবেদক,কেরানীগঞ্জ –
জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাসী ও সাহসীকতার অনন্য বিজয়গাঁথা পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আজ আনন্দে মেতেছে পুরো দেশ। মূল অনুষ্ঠান মুন্সিগঞ্জের দোগাছি ও পদ্মার অপরপ্রান্ত জাজিরা এলাকা ছাড়াও আজ আনন্দে মেতেছে দেশ। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলাশহর ও গ্রাম গঞ্জেও বিভিন্ন আনন্দ উৎসব করেছে দেশবাসী। এ উপলক্ষে আনন্দ কনসার্টের আয়োজন করেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদও।
আজ ২৫ জুন শনিবার সকাল থেকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাঠে এ কনসার্ট শুরু হয়ে চলতে থাকে দিন পেরিয়ে রাত অবদি। কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী নোবেল, প্রতীক হাসান, নোলক বাবু, ঝিলিক, ইসরাত জাহান জুঁই, সন্ধ্যা, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠশিল্পী অতনু, পায়েল, নদী ও স্থানীয় শিল্পীরা।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যা শাহীন আহমেদের নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক,হযরতপুর ইউপিচেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল,বাস্তা ইউপি চেয়ারম্যান আশকর আলী,রোহিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী,কালিন্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল হোসেন,শাক্তা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজী সালাহ উদ্দিন লিটন,কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক, কালিন্দী ইউনিয়ন আয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি জাহিদ হোসেন রনি,ঢাকাজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন রাজিব,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.ইয়ামিন কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো.স্বাধীন শেখ প্রমুখ। এছাড়াও কেরাণীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত হয়ে এ আনন্দ কনসার্ট উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়। এটা দেশের একটি বড় সম্পদ। এই সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আজ উদ্বোধনের মাধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সেই ত্যাগকে যৌক্তিক প্রমাণ করেছে। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সড়কপথে খুলে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের দক্ষিনের দুয়ার। যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগের মাধ্যম। তিনি বলেন,এর ফলে ফেরি পাড়ি দিয়ে পদ্মা পার হওয়া এবং পদ্মার দুইপাড়ে দীর্ঘ লাইর জ্যামের ভয়ংকর এক অস্বস্তিকর ও দীর্ঘ ভোগান্তির কবল থেকে রেহাই পেলো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। শাহীন আহমেদ আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ যেভাবে যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারছে এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষও সেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরনের দিন আজ। কারন সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে রাজধানীতে কৃষিপণ্য পরিবহনে একটি যুগান্তকারী অধ্যায় তৈরি করবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটবে।তাছাড়া বাঙালীর স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের সড়ক পথে বড় ধরনের কোন ভোগান্তি আর থাকবে না। বরং অন্যান্য পথে যাতায়াতের তুলনায় ঢাকা থেকে দেশের দক্ষ্ণিাঞ্চলের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে সহজ আরামদায়ক