রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের জ্বীন দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনে ভন্ড সাধুর কান্ড, এলাকার ভন্ড সবুর মন্ডল অরফে সবুজ নামের এক প্রতারক উঠতি বয়সের মেয়েদেরকে ধর্ষন। আমার কাছে প্রতিরাতে জ্বীন আসে আমি জ্বীনের বাদশা তোমাদের জ্বীনের দ্বারা ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবো, জ্বীন দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করে দিব। আর কোনদিন গরীব দরিদ্র অসহায় ভাবে থাকতে হবে না এমন সব প্রলোভবের কথা বলে গ্রামের অসহায় সহজ সড়ল পরিবারকে টার্গেক করে গ্রামের বিভিন্নবাড়ীর পরিবারের অল্প বয়সি মেয়েদের দিয়ে আসন/ধ্যান বসানোর কথা বলে দির্ঘদিন ধরে তাদের সাথে শারিরীক সর্ম্পক করে আসছিল। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের সরল ও অসহায় মেয়েদেরকে নিয়ের জ্বীনের ভয়ে তাদেরকে ধর্ষন করতো। দির্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসা ভন্ড সাধুর বিরুদ্ধে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার বহু নারী পুরুষ এবং এলাকাবাসি। এ ঘটনায় (১৫ জুন) মঙ্গলবার ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রীর বোন পাপিয়া ও অপর ছাত্রীর পিতা মোঃ রবিউল ইসলাম অরফে হুমায়ুন বাদী হয়ে রাজবাড়ীর আদালতে ধর্ষনের দায়ে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছে। রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্যাইবুনাল আদালতে নারী শিশু ও নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছে। যার মিস পি নং-১৭৭/২০২১ ও ১৭৮/২০২১। আদালত রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানাকে মামলা ২টি এফআই আর করার নির্দেশ প্রদান করেছে। ওই তরুনীদের সাথে কথা হলে তারা জানান আমাদের জ্বীন পরীর ভয় দেখিয়ে ২ জনের সাথেই ৪ বার করে শারীরিক সর্ম্পক করেছে, প্রথমে জোর করে পরে আমাদের সকল আত্বীয়কে জ্বীন দিয়ে মেরে ফেলবে এ কথা কাউকে বললে সে এভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের সাথে শারিরিক সর্ম্পক করেছে। ৯ম শ্রেণীতে ছাত্রী ওই তরুনী বলেন প্রথমে আমার বাবাকে প্রলোভন দেখিয়ে বড় লোক বানানোর কথা বলে রাতে আমার এক গ্লাস পানি নিয়ে পাশেই একটি তাল গাছের তলায় যেতে বলে, আমি সেখানে পানি নিয়ে সেখানে যাই সেই ভন্ড নানা ধরনের কথা বলে আমাকে জোর করে হাত বেধে ফেলে আমার সাথে জোবরদস্তি করে আমার ইজ্জত নষ্ট করে। আমি চিৎকার দিতে গেলে আমার মূখে চেপে ধরে এক প্রকার ভয় দেখানো হয় জ্বীন দিয়ে আমার বাবাকে মেরে ফেলবে এ কথা কাউকে বললে আমার পরিবার ধংষ হয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। ওই তরুনী আরো বলেন এভাবে ৪১দিন জ্বীনের খায়েশ মিটিয়ে দিলে আমাদের ভাগ্যর পরিবর্তন হয়ে যাবে। অপর তরুনী জানান-আমি আমার বোনের বাড়ীতে অবস্থান করছি বেশ কিছুদিন ধরে, রাতে আমি ও আমার ভাইয়ের মেয়ে এক সাথেই ঘুমাই এর মধ্যে ওই লম্পট ভন্ড সাধু সবুরের নজর পড়ে আমার দিকে সে নানা ভাবে আসন বসানোর কথা বলে, আমাকে তার বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে আমি যেতে না চাইলে আমার বোন ও বোনের জামাইয়ের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয়, আমি আসনে গিলে প্রথমে আমাকে ২ রাকাত নামাজ পড়ার কথা বলে আমি নামাজ শেষ করতে করতে ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়, সেই সাথে ওই ভন্ড সাধু সবুর একটি কালো রংয়ের জুব্বা পড়ে আমার সামনে আসে এবং আমার গায়ে হাত দেয় এ সময় আমি নিষেধ করলে সে জানায় আমি জ্বীন, সবুরের রুপে তোমার কাছে আসছি, আমার খায়েশ মিটিয়ে দাও তোমার মনের এবং জীবনের সকল আসা পূরণ করা হবে তোর জীবনের যেটা আশা করবি সেটাই দ্রুত পাইবি। ওই তরুনী একই সাথে বলেন ওই ভন্ড পাষন্ড সবুর জোর করে জায় নামাজের পাটির উপর ফেলে আমাকে ধর্ষণ করে, আমি চিৎকার করে কান্না করছি কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি, সবুরের বাড়ীর লোকজনও জানত ওই ঘরে কি হচ্ছে কিন্তু কেউ আসেনি আমাকে বাঁচাতে। এর পর থেকে নানা ভাবে জ্বীনের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবারের সকলকে মেরে ফেলবে বলে আমার সাথে ৪ বার শারিরীক সর্ম্পক করেছে। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে আমার বোনের সাথে আলাপ আলোচনা করার পর সবুর বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে নানা ভাবে জীবনের হুমকি ও বাড়ীতে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদেরকে পাঠিয়ে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে যেন এ বিষয় নিয়ে আমরা এলাকার মানুষের কাছে মুখ না খুলি।
এদিকে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ বিষয়টি জানার পর থেকেই ভন্ড সবুরের বিচার কামনা করেছেন, তাদেরকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভন্ড জ্বীন সবুর চালাক ও প্রতারক লোক, বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনা করায় তার পেশা,এক সময় র্যাবের পোশাক পড়ে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খেটেছে সবুর। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের প্রতারনা এর মধ্যে চাকুরী দেওয়ার কথা বলেও সে টাকা নিয়ে করেছে প্রতারনা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের সরল ও অসহায় মেয়েদেরকে নিয়ের জ্বীনের ভয়ে তাদেরকে ধর্ষন করতো আমাদের এলাকার আর কোন মেয়ের এরকম ক্ষতি করতে না পারে এ বিষয়ে এলাকাবাসি এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ২ তরুনী বিচার চেয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমাদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে যেন আর কোন বোনের সাথে এরুপ না হয়, আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে ভন্ড প্রতারক জ্বীনের কথা বলে ক্ষতিকারক সবুরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাড়ীতে গিয়ে না পাওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি, এলাকার জনগন জানান, এই ধর্ষনের কথা জানাজানি হলে সে বাড়ী থেকে পলাতক রয়েছে।