রফিকুল ইসলাম খান, পাইকগাছা, খুলনা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দূর্গার স্বর্গ থেকে আগমণ ঘটেছিল মর্ত্য লোকে। এরই ধারাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গাদূর্গা উৎসব উদযাপন করেন। এ উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃতমৃ শিল্পীরা। কাশফোটা শিউলি শরতেই এই শারদীয় দূর্গাদূর্গা উৎসব। আর এই উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গা পুজার প্রস্তুতি। সারাদেশের ন্যায় খুলনার পাইকগাছার ১ টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে সারাদেশের ন্যায় ১১ অক্টোবার (সোমবার ) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ১৪৯ টি পূজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর মধ্য পাইকগাছার পৌরসভায় ৬ টি, হরিঢালী ইউনিয়নে ১৯ টি, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৮ টি, লতা ইউনিয়নে ১০ টি, দেলুটি ইউনিয়নে ১৩ টি, সোলাদানা ইউনিয়নে ১৪ টি, লস্কর ইউনিয়নে ১৭ টি, সোলাদানা ইউনিয়নে ১৪ টি,গদাইপুর ইউনিয়নে ৫ টি , রাড়ুলী ইউনিয়নে ২১ টি, চাঁদখালী ইউনিয়নে ১৩ টি, গড়ইখালী ইউনিয়নের ১৩ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। এদিকে ১৫ অক্টোবার প্রতীমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দূর্গা পূজা। পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন শাখার সাধারন সম্পাদক বাবু আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান,পাইকগাছা উপজেলা শাখা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ হতে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পূজা উদযাপন করার লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সকল প্রস্তূতি সম্পন্ন হয়েছে । এবং প্রতিমা তৈরির কাজ ও দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া তিনি আরও জানান প্রতি বছরের ন্যায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।