পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি
সড়ক পরিবহন উপদেষ্ঠা পরিষদের সভার সিদ্ধানÍ অনুযায়ী প্রধান সড়ক গুলোতে পরিবেশ বিধ্বংসী নছিমন-করিমন বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম। সুত্র মতে প্রকাশ, ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক এই অভিযান পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত এর সুফল পাওয়া যায়নি। অবৈধ নছিমন-করিমন, আলমসাধু. ভটভটি, মহেন্দ্র অবাধ চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না। তবে কি কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান জোরদার বা সফলতা পায়নি তা নিয়ে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। ফলে খুলনা-পাইকগাছার প্রধান সড়কে বীরদর্পে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবেশ বিধ্বংসী স্যালো ইঞ্জিন চালিত নছিমন, করিমন, আলম সাধু ও মহেন্দ্র।
গত কয়েক বছর যাবৎ স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে স্থানীয় ভাবে তৈরী তিন চাকার নছিমন-করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এসব অবৈধ যন্ত্রযান মহাসড়ক-অভ্যান্তরিন সড়কগুলোতে যাত্রী ও মালামাল বহন করে চলে আসছে দাপটের সাথে। যার নেই কোন সঠিক নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা, রুট পারমিটসহ বৈধতা। ফলে প্রায়শই যেমন দূর্ঘটনাসহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে আসছে তেমনি এর কালো ধোয়া ও বিকট শব্দে পরিবেশ ধ্বংস করছে। স্যালো ইঞ্জিন চালিত যন্ত্রযান নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় ও আলোচনার ঝড় উঠলে নছিমন-করিমন বন্ধের দাবীতে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় ধর্মঘট ও প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসেন। কিন্তু অদ্যবধি এর কোন সুরাহা হয়নি বরং নছিমন-করিমন বন্ধের দাবীতে পরিবহন কর্তৃপক্ষ ধর্মঘট করলে সেদিনও বীরদর্পে মহাসড়ক গুলোতে চলাচল করেছে নছিমন-করিমন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যোগাযোগ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন উপদেষ্ঠা পরিষদের ৩৬তম সভায় স্যালো পাম্পের ইঞ্জিন চালিত টেম্পু, ভটভটি, নছিমন, করিমন, চান্দের গাড়ী, ইজি বাইক ইত্যাদি যানবাহন ফিডার রোডের বাইরে সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় সার্বিক বিবেচনায় ফিডার রোডের বাইরে মহাসড়কে স্যালো পাম্পের ইঞ্জিন চাালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের লক্ষে সংশিষ্ট যানবাহন ও চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এমতাবস্থায় উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্ব-স্ব থানার অফিসার ইনচার্জকে ভ্রাম্যমান আদালত ভিজিলেন্স টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ সুপার, জেলার বিশেষ শাখা-খুলনা থেকে প্রত্যেক থানায় জরুরী বার্তা পাঠানো হয়। অথচ ঘোষিত এ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
যার সফলতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। জনশ্রæতি আছে, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুলিশ প্রশাসন মাসোহারা আদায়ের মাধ্যমে যন্ত্রদানব নছিমন, করিমন, আলম সাধু, ভটভটি, মহেন্দ্র ইত্যাদি প্রধান সড়কে পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছেন। মহাসড়কে এই যন্ত্রদানব চলাচলের পেছনে জন প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা ও পুলিশের কিছু অসৎ সদস্যের হাত রয়েছে। আবার অনেক সময় টহল পুলিশ এসব যানবাহন বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করে থাকে। এদের প্রধান সড়কগুলিতে চলার অনুমোদন না থাকলেও নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে প্রধান সড়ক গুলো দখল রেখে বীরদর্পে চলাচল করছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশিষ্ট প্রশাসন বৈধ পরিবহনের ক্ষেত্রে অবৈধ কোন কিছু পাওয়া যায় কিনা বা উৎকোচ পাওয়ার আশায় প্রধান সড়কে চেকপোষ্ট বসালেও অবৈধ এসকল যানবাহন তাদের চোখে পড়ে না। যা আইনগত সব কিছুকে রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।