সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত টাউন খালের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় একটি পাকা সেতু হলে অন্তত ৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে। সেই সাথে এলাকার মানুষের যাতায়াত খরচও কমে যাবে। এছাড়া সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণ পৈরতলা থেকে উত্তর পৈরতলার দূরত্বও কমে যাবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার খাল পাড়ের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে যানজট নিরসনসহ মানুষের পথচলা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ পৈরতলা গোরস্থান ও মসজিদ আল নূর পিয়ারা জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে।
সেখানকার স্থানীয় অন্তত হাজার হাজার বাসিন্দার ভোগান্তি রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, দক্ষিণ ও উত্তর পৈরতলা এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কের ৯০ ফুট দৈর্ঘ একটি কাঠের তৈরি সাঁকো নির্মাণ করে মহল্লাবাসী। ওই এলাকায় খালটি ৮০ ফুট প্রশস্থ। পৈরতলা আল নূর পেয়ারা জামে মসজিদ সংলগ্ন সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গ্রামবাসী প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নিজ উদ্যোগে সাঁকোটি নির্মাণ করলেও জেলা পরিষদ ও পৌর কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে সেখানে সেতু করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার বাসিন্দা বলেন, ওই এলাকায় প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল ও মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। শত বছরের প্রাচীনতম খালটির উপর দিয়ে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে বদলে যাবে ওই এলাকার পুরো চিত্র। সেখানে রয়েছে সবচেয়ে বড় সরকারি কবরস্থান। ৬০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত কবরস্থানটিতে মানুষের মরদেহ দাফনের কাজেও ব্যবহৃত হয় অস্থায়ী ওই সাঁকোটি। স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ পৈরতলা চার রাস্তার মোড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজট হয়। এতে মানুষের চলাফেরা ব্যাহত হয়।
অথচ দক্ষিণ ও উত্তর পৈরতলা সংযোগ সাঁকোর স্থানে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে পুরো এলাকায় যানজট কমে যাবে। মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে। যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ্য হবে। ওই এলাকায় সবচেয়ে বড় মসজিদ ও শেখ জালাল (রহঃ) মাজার থাকায় সাধারণ মানুষের চলাফেরাও দিন দিন বাড়ছে। এলাকার প্রবীন ব্যক্তি ফরিদ মিয়া জানান, বাঁশের তৈরি সাঁকোটি পরিবর্তন করে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
কারণ এ সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছে। ফরহাদ সরকার নামে একজন বলেন, কয়েক যুগ ধরেই এ এলাকার মানুষ অবহেলিত। সংযোগ সড়কে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। কবর জিয়ারত ও মাজার জিয়ারতে সহজ হবে। অন্যদিকে সড়ক বাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে। অন্তত শহরের যানজট কমানোর জন্য এ খালের উপর অন্তত চারটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন।