ভাঙ্গা প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজের পরদিন নুপুর রায় (২৬) নামের এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় পৌরসভার রায়পাড়া সদরদী গ্রামের একটি পাট ক্ষেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নুপুর একই গ্রামের কার্তিক রায়ের স্ত্রী। সে স্থানীয় একটি এনজিও’র মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয় নুপুর। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হলেও নুপুর বাড়ীতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে রাত্রে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
পরদিন বুধবার বিকেলে এলাকাবাসীর খবরে জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী মামুন শেখের একটি পাট ক্ষেতে নুপুরের লাশ পড়ে রয়েছে। নুপুরের শ্বাশুড়ী মায়া রানী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, নুপুর সাত মাসের অন্তঃসত্বা ছিলো। তার ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ‘ছেলেটি আজ মা হারা হলো’। আমার নুপুরের হত্যাকারীদের বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে গ্রামের শিশুরা মাঠে ফুটবল খেলছিলো। খেলার ছলে ফুটবলটি পার্শবর্তী একটি পাটক্ষেতে চলে যায়। এসময় বল খুঁজতে পাট ক্ষেতের মধ্যে যায় শিশুরা।
সেখানে অর্ধ বিবস্ত্র অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় তারা। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাতে নুপুরের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেছিলো তার পরিবার। প্রাথমিক ধারণামতে, নুপুরকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তকার্য চলমান রয়েছে ,পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।