পাথরঘাটা, বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের পাথরঘাটা কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খাস পুকুর পুনঃ খনন, পুরনো দুটি পানির ফিল্টার আধুনিকায়ন ও সংস্কার এবং নতুন আরও একটি মানসম্মত ফিল্টার নির্মাণ, পুকুরের চার পাশে ভাউন্ডারি ওয়ালসহ ওই খাস পুকুরের আশপাশের টয়লেট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ২০ এপ্রিল শনিবার ওই পুকুরের চারপাশে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে পাথরঘাটার ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার এর মাধ্যমে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিন সোহেলের উপস্থাপনায় মানববন্ধনের বক্তব্য দেন, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পাথরঘাটা ও তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতিমা, পাথরঘাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিসিডিবি পাথরঘাটা ম্যানেজার সুব্রত মিস্ত্রি, এনএসএস এর পাথরঘাটা সমন্বয়ক রুমা বেগম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রত্যয় এর সভাপতি মেহেদী সিকদার, পাথরঘাটা যুব রেডক্রিসেন্ট এর জনসংযোগ প্রধান জুবায়ের ইসলাম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শত বছরের পুরনো পাথরঘাটা কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খাস পুকুরটি গত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে পুকুরের আশে-পাশে টয়লেট নির্মাণসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া পুকুর সংস্কার ও নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে পুকুরে ময়লা আবর্জনা ও দূষিত পানি সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পাথরঘাটা পৌর শহরের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাই অবিলম্বে ওই খাস পুকুরটি পুনঃখনন, পুকুরের পুরনো দুইটি ফিল্টার আধুনিকায়ন ও সংস্কার এবং নতুন আরও একটি মানসম্মাত ফিল্টার নির্মানসহ পুকুরের আশপাশের টয়লেট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান সচেতন নাগরিক সমাজ।
মানববন্ধনে পাথরঘাটা প্রেক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিন সোহেল বলেন, পাথরঘাটা কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খাস পুকুরটিতে অবৈধ সাতাশটি পাইপ দিয়ে আশপাশের বাসিন্দারা পুকুরের পানি মটর দিয়ে তুলে নিচ্ছেন। এতে প্রতি বছর ফাল্গুন মাস আসার আগেই পুকুরটির পানি কমে যায়। এ কারণে ফিল্টার থেকে পানি সরবরাহ সম্ভব হয় না। এতে সুপেয় পানি সংকটে পড়েন পৌরবাসী। পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পুকুরটি সুরক্ষায় চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া ছিল। ওই কাঁটাতারের বেড়া ছিড়ে দখলদাররা খাস পুকুর পাড় দখল অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া ইতোমধ্যেই পুকুরটির পশ্চিম পাশ পুরো দখল হয়ে গেছে।
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাফর ইকবাল বলেন পুকুরটি অরক্ষিত হওয়ায় প্রতিদিন অগনিত কুকুর পুকুরটিতে নেমে সাতারকাটে ওই সকল কুকুরের শরীর পচা ও দূর্গন্ধে ভরা থাকার পরেও অনেক জেনে এবং অনেকে না জেনে বাধ্য হয়ে ওই পুকুরের পানি পান করেন। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, এক খাস পুকুরটি পৌর এলাকায় থাকায় পৌরসভারই এ ব্যাপারে নজর দেয়ার কথা ছিল। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় এটি সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব।