জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা, বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামে বিবাহের দাবিতে বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে টেবিলের পায়া দিয়ে আঘাতের ঘটনায় বাবা খুন হয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাথরঘাটা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল ও ফুফাতো ভগ্নিপতি লিটন চন্দ্র শীলকে আটক করেছে পুলিশ। পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মাথায় আঘাতের ঘটনার পর দুপুর ১টার দিকে নিরঞ্জন চন্দ্র শীল মারা যান। নিরঞ্জন চন্দ্র শীল (৬৫) বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাতেমপুর গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে। নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের স্ত্রী রাঁধা রানী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীল এর কাছে বিবাহ করিয়ে দেয়ার দাবি করছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবছর ধরে বিবাহের দাবি করে আসছিলেন ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল। তবে পরিবার ও বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীল বিবাহের ব্যাপারে সামনে অগ্রসর না হওয়ায় ৭ জুন মঙ্গলবার ১০ টার দিকে বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীল এর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয়। ওই তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল টেবিলের একটি পায়া হাতে নিয়ে বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হলে দ্রæত তাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসা ব্যবস্থায় পাথরঘাটা হাসপাতালে দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, নিরঞ্জনের স্ত্রী রাঁধা রানী ও মেয়ে হাসি রানীর মৌখিক অভিযোগ এর ঘটনায় তাদের বাড়ি থেকে ছেলে নেপাল চন্দ্র শীল ও ফুফাতো ভগ্নিপতি লিটন চন্দ্র শীলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।