পাথরঘাটা, বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ছোট টেংরা গ্রামের হাচানিয়া জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষা ও মসজিদে বসে নামাজ আদায় বন্ধ করতে তালা দেওয়ার অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মসজিদের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। জানা গেছে মৃত ছিদ্দিকুর রহমান ফরাজির ছেলে মোঃ কবির ফরাজির পরিচালনায় দীর্ঘ ৩ বছর থেকে বিনামূল্যে উক্ত মসজিদে বসে এলাকার শিশুদের কোরআন ও ইসলাম শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন হাফেজ খতীব মোঃ মিজানুর রহমান। মসজিদের আজান ও প্রতিদিন সকালে শিশুদের কোরআন শিক্ষার আওয়াজে প্রতিবেশি সেকান্দার ফরাজির ছেলে ছগির ফরাজি (৪৫) এর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় বলে ২৮ আগস্ট সকালে ছগির ফরাজি মসজিদে গিয়ে মাইকের তার ছিড়ে ফেলাসহ শিক্ষক হাফেজ মোঃ মিজানুর রহমান এবং শিশু শিক্ষার্থীদের বেধমভাবে মারপিট করে মসজিদের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে। ২৮ আগস্ট থেকে দফায় দফায় মসজিদের তালা খোলার জন্য এলাকাবাসী ছগিরের কাছে অনুরোধ করলেও ছগির তালা খুলে না দেওয়া সেই থেকে মসজিদে নামজ পড়তে পারেনি এলাকাবাসি। অবশেষে বাধ্য হয়ে ২ সেপ্টম্বর শুক্রবার এলাকাবাসী ঐক্যবদ্দ হয়ে ছগিরের বিচারের দাবীতে মসজিদের সামনে মানববন্ধন করে সবাই মিলে হাতুরি দিয়ে তালা ভেংগে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরদুয়ানি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য মোসাঃ রহিমা জাহাঙ্গির, উক্ত ছগিরের চাচা মোঃ শাহজাহান ফরাজি, মোঃ মন্নান শরীফ, মসজিদ পরিচালক মোঃ কবির ফরাজি, সফিজ উদ্দিন খাঁন এর ন্ত্রী মোসাঃ আলেয়া বেগম, মোঃ জয়নালের স্ত্রী মোসাঃ ফাতিমা বেগম, মোঃ সাঈফুল, মোঃ মাসুদসহ প্রমুখ। বক্তরা বলেন সগির ফরাজি একজন নাস্তিক এবং তার কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। তারা বলেন ছগির ফরাজির সাথে কারো তর্ক হলেই সে অবৈধ পাইপগান নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বক্তরা এসময়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছগির ফরাজির কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ তার সঠিক বিচার দাবী করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত ছগির ফরাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিভিন্ন কারনে আমার সাথে অনেকের বিরোধ রয়েছে, সেই বিরোধের জের ধরেই আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।