নুরুল আলম, খাগড়াছড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রামের সরকারি খাস ভূমি দখল ও ঘর বানিজ্যে উপজাতীদের হিড়িক। অতীত ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচার-বিশ্লেষণ করে বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সেই মোগল আমল থেকে উৎপত্তি৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও বাঙালি প্রবেশের বহুকাল পূর্ব থেকে উপজাতীরা উশৃংখল, হিংস্র ও বর্বর ছিল৷ আজ তাদেরকে একটি মহল আদিবাসী (এদেশের ভূমি পুত্র হিসেবে) দাবি করে। বাস্তবিক অর্থে বিচার-বিশ্লেষণ করলে এটাই দাঁড়ায় যে, তারা সবাই ভিনদেশী দখলদার, এবং অভিবাসী। কারণ, তারা অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়েছিল পার্বত্য ভূখ-ে। দেখা যাচ্ছে আজ তারা নিজেদের এদেশের আদিবাসী হিসেবে দাবি করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবধরনের ভূমি তাদের দাবি করছে। এটা যেমন হাস্যকর, তেমনিই লজ্জাজনক বটে।সরকার কর্তৃক বাঙালিদের বন্দোবস্তিকৃত ভূমিও তাদের দাবি করে মামলা-হামলা ও দাঙ্গাহামা সৃষ্টি করে পার্বত্য পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রকে বর্হিরবিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার যখন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো উন্নয়ন কর্মকান্ড ও শিক্ষা-দীক্ষার প্রসারিত করছে, এবং সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে নেয়ার দিকে তৎপর হয় তখন উপজাতী সন্ত্রাসী ও এদেশের একটি তথাকথিত মহল তার বিরোধীতা শুধু করল। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে তাদের তীব্র বিরোধীতা সবসময় চলমান। মহালছড়ি ও সিন্দুকছড়ি সড়কের সরকারি খাস ভূমিতে নিজেরা ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেরাই সে ঘর ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে। এটাকে ইস্যু করে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্ক করার অপচেষ্টাও করে। বিষয়টি দুঃখজনক।
খাগড়াছড়ি মহালছডি ও সিন্দুকছড়ি থেকে রামগড় সড়কটি নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা যেমন হয়েছে তেমনিই প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির চালিকাশক্তি এগিয়ে নেওয়ার মতো একটি দুয়ার খুলেছে। এর বিরোধীতা করে উপজাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো সেনাবাহিনীর এ উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা করে মিথ্যা গুজব রটিয়ে দেয় ভূমি দখলের। অথচ এটা ডাহা মিথ্যা। যখন মিথ্যা গুজবকে কাজে লাগাতে পারেনি তখন পরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশে সরকারি খাস ভূমিতে বাঁশ দিয়ে ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেরাই সে ঘরটি ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করছে। এই থেকে প্রমাণিত যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি দখলদার হচ্ছে উপজাতীরা। বাঙালি ও সেনাবাহিনীরা পাহাড়ে ভূমি দখল ও অন্যায় অবিচার করে না, বরং বাঙালি ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার রটিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার প্রচেষ্টা করে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো।