যুবায়ের আল মামুন, পিরোজপুর
দেশে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনের দুদিন যেতে না যেতেই খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে পিরোজপুর জেলার নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের মাঝে। কেউ কেউ আবার পরিবারের মুখে খাবার দিতে বেড়িয়ে পড়ছেন রাস্তায়; মানছেন না বিধিনিষেধ। তাদের চোখে-মুখে একটাই প্রশ্ন, কিভাবে হবে সম্ভাব্য খাবার সংকটের সমাধান? জীবন বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতার দিকেই চেয়ে আছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। আর জেলা প্রশাসন বলছেন, প্রায় ৩৩লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ এসেছে খুব শীঘ্রই শ্রমিক-দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করা হবে খাদ্য সহায়তা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ০১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। সারাদেশের মত পিরোজপুরেও কঠোর ভাবে পালিত হচ্ছে ৭দিনের লকডাউন। জেলার ০৭ টি উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কড়া নিরাপত্তার কারণে চেকিং চলছে মোড়ে মোড়ে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে অলিগলিতে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেতে পারছে না কোনো যানবাহন। বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। এদিকে কঠোর লকডাউনের ফলে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্নআয়ের মানুষগুলো। পরিবারের মুখে খাবার দিতে বেড়িয়ে পড়ছেন রাস্তায় মানছেন না বিধিনিষেধ। রাস্তার পাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মাছ,তরি-তরকারি নিয়ে বসে থাকলেও বিক্রি হচ্ছে না আগের মত। এতে তাদের চোখে-মুখে একটাই প্রশ্ন, কিভাবে হবে সম্ভাব্য খাবার সংকটের সমাধান। সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে গতবছরের মত আবারো দিশেহারা পিরোজপুরে বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ। ফুটপাতের কলা বিক্রেতা নজির আমিন জানান, আমার দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় ছিলো কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হচ্ছে। যা দিয়ে ৪জন সদস্যের পরিবার চালানো সম্ভব না। আর খুচরা মাছ বিক্রেতা ফরিদ হোসেন জানান,সে অল্প কিছু মাছ কিনেছে বিক্রি করে সংসার চালাবে বলে তবে লকডাউনে তার মাছ বিক্রি হচ্ছে না। এখনকেনা দামের চেয়েও কম দাবে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে তার লোকসান হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। গতবছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা এসব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সুখকর ছিলনা। এবার টিকে থাকতে কিছুটা হলেও সরকারি সহায়তার প্রত্যাশায় তারা। এদিকে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম দিলেন সুখবর। তিনি জানান, পিরোজপুর জেলায় ইতিমধ্যে ৩২লাখ ৯১ হাজার ৫০০টাকা সরকারি বরাদ্দ এসেছে খুব শীঘ্রইক শ্রমিক-দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করা হবে খাদ্য সহায়তা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আরো জানানো হযেছে ৩৩৩ নাম্বারে কল দিয়ে খাদ্য সহযোগিতা চাওয়া হলে দ্রুতই পৌছে যাবে খাদ্য সামগ্রী।