পীরগাছায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাছ কেটে নিলেন দুই মেম্বার 

পীরগাছায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাছ কেটে নিলেন দুই মেম্বার 
পীরগাছায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাছ কেটে নিলেন দুই মেম্বার 
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

হারুন-অর-রশিদ বাবু ,রংপুর

রংপুরের পীরগাছা উপজেলাধীন কল্যাণী ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ১ ও ২ এর যোগসাজশে, পরিষদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা মুল্যের পুরনো একটি সরকারি গাছ প্রকাশ্যে কেটে নিয়েছে।

গত শনিবার  সকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ইউনিয়নের দুই প্যানেল চেয়ারম্যান শ্ব-শরীরে  উপস্থিত থেকে গাছটি কাটেন। ওই দুইজন হলেন প্যানেল ১ নেছার আহমেদ ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। প্যানেল-২ হুমায়ুন কবির ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। নেছার মেম্বার অকপটে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে আমার দেশকে বলেন, হুমায়ুন কবির মেম্বারসহ একটি গাছ কেটেছি বাড়ির কাজের জন্য।

গতকাল মঙ্গলবার এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কল্যানী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দক্ষিণে ও প্রাচীরের সাথে লাগোয়া উত্তরে অনেক বড় একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেন ওই দুই ইউপি সদস্য।

ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, তিনদিন অফিস বন্ধের পর গত সোমবার অফিসে এসে দেখি বড় একটি ইউক্যালিপটাস কে বা কাহারা কেটে নিয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির গাছ কাটার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, গাছ কাটা হয়েছে তবে এখানে আমি জরিত নই! নেছার মেম্বার অন্যায়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের গাছ চুরি করে কেটেছে, আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে নেছার মেম্বার গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে বলেন, আমি আমার বাড়ির কাজের জন্য হুমায়ুন মেম্বারসহ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়েছি।

গাছ কাটার সময় এলাকাবাসী বাধা দিলে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছ নিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় ওই ইউপি পরিষদের বাকি গাছও কাটার হুমকি দেন তারা। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন।

ইউনিয়নের বাসিন্দা জিকরুল আমিন বলেন, নেছার আহমেদ ও হুমায়ুন কবিররা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, বর্তমান বিএনপির চাদর গায়ে দিয়ে এধরণের অপকর্ম করে সরকারকে বিতর্কিত করে যাচ্ছে। এদেরকে বিচারের মুখোমুখি দরকার।

শাহাজাহান আলী বলেন, নেছার আহমেদ মেম্বার আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় নৌকা মার্কার নুর আলম চেয়ারম্যান তাকে প্যানেল করেছেন। তিনি পরিষদের সম্পদকে পৈত্রিক সম্পদ মনে করে নিজের জন্য ব্যবহার করেন। তিনি অতিতেও এ ধরণের অগনিত অপকর্ম করেছেন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার সুনিশ্চিত করা জরুরি।

কল্যাণী ইউপি প্রশাসক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন , আমি আমার অফিসের কাজে ব্যস্ত রয়েছি। আমি এখনো ওই ইউপি পরিষদে যোগদান করি নাই। তবে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, অনুমতি ছাড়া পরিষদের গাছ কেটে নেয়ার কোন সুযোগ নেই, বিস্তারিত তথ্য আমাকে পাঠান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

দৈনিক আমাদের কণ্ঠ