মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: শতবর্ষি বৃদ্ধ নায়েব আলী এখোন আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারেনা না। চোখে ঝাপসা দেখেন। সারাদিন ভিক্ষা করার পর কত টাকা পেলেন সে হিসাবটা প্রতিদিন বাড়ি ফিরার পথে একজনকে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে হেটে বাড়িতে ফিরে সে। তবে বৃষ্টির এ সময়ে মোটেও ভালো নেই সে। বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি থেকে বের হলেও দির্ঘ সময় বৃস্টির কারনে একেক স্থানে দাড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে সময় পার হয়ে যায় তার। তাই ভিক্ষা করার সময়টা আর আগের মতো পায়না সে। তাই উপার্জনও কমে গেছে তার। এদিকে চোখে কম দেখায় তাকে ফিরতে হয় বাড়িতে সন্ধার আগে। রবিবার (২০ জুন) সন্ধায় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সামনে হুমায়ূন মিয়ার চায়ের দোকানে সে সারাদিনের উপার্জিত টাকা গুনাচ্ছিল দোকানে আসা এক লোক দিয়ে। তার ভিক্ষার টাকাগুলোর মধ্যে ৫টাকার নোটের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ২টাকার কয়েন, নোট ও ১০ টাকার নোটও রয়েছে। টাকাগুলো গুনে ৩ শত ১০টাকা মিলিয়ে বাড়ির দিকে লাঠি ভর দিয়ে হাটতে শুরু করে সে। নায়েব আলী এখোন আর স্পষ্ট সরে কথা বলতে পারেননা। তার একটি শব্দ বুঝতে বেশ কয়েকবার তাকে জিজ্ঞাসা করতে হয়। তিনি জানান, তার বয়স এখোন ১শতর মতো। রংপুর জেলায় তার বাড়ি। তার পিতা মৃত ফজল মিয়া। এক সময় সে কৃষিকাজ করতো। ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। ছেলে রেজাউল বলদ (বোকা) ধরনের তেমন কাজকর্ম করেনা। তাই তার ছেলের বৌ ছেলেকে ছেড়ে চলে গেছে। নায়েব আলীর স্ত্রী মারা গেছে অনেক আগে। তাই তার দেখার বাড়িতে কেউ নেই। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বড়লিয়া গ্রামে নুরু মিয়ার বাসায় থেকে তার মেয়ে জামাই মান্না শ্রমিকের কাজ করেন। তার সাথে থেকে সে টঙ্গিবাড়ী বাজার ও তার আশে-পাশের এলাকায় ভিক্ষা করে সে। নায়েব আলী আরো জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারনে ভিক্ষা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার। আজও সকালে বৃষ্টি ছিলো তাই সকালে দিকটা বিভিন্ন দোকানে বসেই কেটে গেছে তার। বিকালে রৌদ্র উঠায় ভিক্ষা করে টাকাগুলো পেয়েছে সে।