শাহিন চৌধুরী:
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘প্রত্যাশা-২’ প্রকল্প আয়োজন করেছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন সাপোর্ট সেন্টার (গজঝঈ) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মো: বজলুর রশিদ, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মনোসামাজিক কাউন্সেলর শায়লা শারমিন, এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর জনাব মো. আনোয়ার হোসেন।অনুষ্ঠানে বিদেশ ফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,“মানসিক স্বাস্থ্য আজ মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি পেয়েছে।
ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় যাহা সকল দিক দিয়ে আমাদের নজর কেরেছে। মানবিক সংকট বা অনিশ্চয়তার সময়ে মানুষ শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এমন সকল বিষয়ে এখন আমাদের স্বীকার করার সময় এসেছে।বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে এখনও নীরবতা বিরাজ করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মানসিক সুস্থতাও শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসাযোগ্য।”সভাপতি মো: বজলুর রশিদ বলেন,প্রত্যাশা-২ প্রকল্প বিদেশফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবারের মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসনে খুব জোরালোভাবে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি অভিবাসী যেন আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস ও নতুনভাবে জীবন শুরু করার মানসিক শক্তি ফিরে পান। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পূর্ণতা পায় না।এছাড়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এই আয়োজন কেবল একটি দিবস পালন নয়; এটি একটি আহব্বান—যাতে আমরা সবাই মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দিই এবং একে অপরের পাশে দাঁড়াতে শিখি। এবং সকলের কাছে আমাদের এমন মহত কাজের দাওয়াত দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে তুলি। #