নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। ১৯৯১ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবীণদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ । সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর প্রাঙ্গণে এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় জেরিয়াট্রিক ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল আমেরিকান ওয়েলনেস সেন্টার । কো-স্পন্সর হিসেবে ছিল ঢাকা মডার্ন সিটি লিমিটেড ও ইবিস এডুকেশন। মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক আমাদের কণ্ঠ এবং ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করেছে টেক অ্যান্ড কেয়ার প্ল্যানিং ট্রি। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবীণ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও তরুণ প্রজন্ম অংশগ্রহণ করেন।
কলাবাগান জোন, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এসময় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রবীণরা আমাদের অভিজ্ঞতা, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের ধারক। তাদের কল্যাণে সরকারের আলাদা মন্ত্রণালয় থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি আমি জোর দিয়ে বলতে চাই বাংলাদেশে যেন আর কোনো বৃদ্ধাশ্রম তৈরি না হয়। সন্তানরা মা-বাবাকে আগলে রাখবে সেটাই প্রকৃত দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে বাবা ও মাকে নিয়ে গান পরিবেশিত হলে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী আইবিডব্লিউএফের সভাপতি – মো: আমিনুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব- মো: এমদাদুল হক, আইবিডব্লিউএফের, সেক্রেটারি জেনারেল ডা: আনোয়ারুল আজিম, সাবেক সচিব ও এমেরিকান ওয়েলনেস সেন্টারের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এবং সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান -ঢাকা মডান’ সিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান – আব্দুল কাইয়ুম।
এ ছাড়া আমেরিকান ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্যোগে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়াা হয়। আয়োজনে প্রবীণদের সম্মানে খাবার বিতরণও করা হয়। জেরিয়াট্রিক ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রবীণরা পরিবার ও সমাজের শিকড়। তাদের সম্মান মাধ্যমেই একটি শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন তৈরি করা সম্ভব।