মো.শহিদুল ইসলাম
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি প্রত্যাশী লাখ লাখ প্রার্থী পরীক্ষার অপেক্ষা করছেন। কেউকেউ আবার আবেদন করেl দীঘদিন যাবত পরীক্ষা না হওয়ায় অন্য পেশায় চলে গেছেন। গত বছরের ২০অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দেশের তিন পার্বত্য জেলা ব্যতিত (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন), সকল জেলার প্রার্থীরা উক্ত পদের জন্য আবেদন করেন। এই প্রথম সহকারী শিক্ষক পদে নারী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ স্নাতক বা স্নাতক সম্মান বা সমমানের ডিগ্রী চাওয়া হয়।
এই চাকরির আবেদন শুরু হয়ে ছিলো গত বছরের ২৫ অক্টোবর এবং আবেদনের শেষ তারিখ ছিলো ২৪ নভেম্বর। সেখানে প্রায় ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে কিন্তু করোনার কারনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয় সম্ভব হয়নি। যার ফলে চাকরি প্রত্যাশিরা অপেক্ষার প্রহর গুনছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থাতেও নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন।
বাকিগুলো শুন্যপদে নিয়োগ দেয়া হবে এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় যোগ্যদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেয়া ও তার ফলাফল প্রকাশ কাজ বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই আমরা এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। আগামী মাসের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এজন্য বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ নতুনভাবে শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে সেই মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।