বিশেষ প্রতিনিধি :
স্থানীয় আমুয়াকান্দা বাজারের সামান্য আচার বিক্রেতা এম,এইচ ইউসুফের উত্থান নিরীহ সরীসৃপ তক্ষকের নিষ্টুর পাচারের ব্যবসা করে। তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এরপর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে শুরু করে মাদক পাচার, মানবপাচার, সুন্দরি নারীদের স্ত্রী বানিয়ে বিদেশ পাচার, তাদেরকে বল প্রয়োগ করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করাসহ নানান অপরাধকর্ম। এসবই করে রাতারাতি ঘোল পাল্টে ছদ্মবেশ ধারণ করে। নিজেকে একে সময় একেক নামে পরিচয় দেয়। রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা আছে। পুলিশ হন্নে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে তাকে। আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের ফুলপুর বাজারে সংবাদ সন্মেলন করেন, ইউসুফের কয়েক অপকর্মের ফিরিস্তি দেন তারই সাবেক স্ত্রী আফরিনা রহমান শ্রাবনী । সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে শ্রাবনী বলেন, তার ছলনায় বিয়ের পিড়িঁতে বসি ।
তখন এতকিছু জানা ছিল না তার অপকর্ম। বিয়ের পর আসল রুপ বেড়িয়ে আসে আমার কাছে। আমাকে তালাকের পরও গত রমজানের ঈদেরদিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে । ফুলপুর থানায় তার নামে ধর্ষণ অভিযোগ করি। পুলিশ ধর্ষন মামলার আসামি হিসাবে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। ছদ্মবেশি এই প্রতারক আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নস্থানে নিজে এবং তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জানা গেছে,এমএইচ ইউসুফের অসংখ্য অপরাধের ফিরিস্তি। সে একজন প্রতারক , মানবপাচারকারি, নারী ব্যবসায়ি। সুন্দরি নারীদের ফাঁদে ফেলে ভারতসহ বিদেশে বিক্রি করে দেয়। এর আগেও সে অনেক বিয়ে করেছে। তন্মধ্যে ৫টির খবর জানি বলে জানেন শ্রাবনী । শিল্পপতি, ফিল্মের নায়কসহ ভিআইপিদের কাছে তার সুন্দরী স্ত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। তাকেও চাপ দিত। এর প্রতিবাদ করায় শ্রাবনী সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে । মাত্র সাত বছরে হঠাৎ করেই কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি জানতে পান তিনি। কোটিপতি হওয়ার পেছনে সবই অবৈধ আয়ের উৎস। রাজধানী মতিঝিল থানা,নয়া পল্টন,সিআইডি, ফুলপুরসহ একাধিক থানায় ডজন মামলার আসামী ইউসুফ। এসব ফাঁস করলে মেরে ফেলার হুমিকিও দেয় শ্রাবনীকে ।
তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এখনও তাকে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ফুলপুর পৌরসভার মেয়র পদে ৩বার এবং সংসদ সদস্য পদে একবার প্রার্থী হয়েছিল। সেসময় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় ইউসুফকে নিয়ে। তাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য এবং প্রশ্ন উঠে সাধারন মানুষের মাঝে। তারা বিষয়টিয়ে ভালভাবে নেননি । প্রশ্ন উঠে মাদক ব্যবসায়ী, নারী পাচারকারি, নিরীহ প্রাণি সরিসৃপ তক্ষক পাচারকারি কি করে প্রকাশ্যে এসব করার সাহস পায় ? পাশপাশি সে ফুলপুরের ত্রাস হিসাবেও কুখ্যাত। ঢাকায় তার কেনা ফ্ল্যাট আছে। কক্সবাজারে ভাড়া করা কিছু ফ্ল্যাটে ভিআইপিদের এনে মোটা টাকায় তার স্ত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতো ।
সংবাদ সন্মেলনে শ্রাবনী অভিযোগ করেন, আমি ধর্ষণ আইনে ফুলপুর থানায় তার নামে মামলা করি। পুলিশ তাকে খুঁজছে। সে পলাতক হিসাবে আছে। ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে ফেসবুকসহ পুলিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, চেক জালিয়াতি, নিজের নাম পাল্টে বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণার। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন,সিআইডিসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে । ঘন ঘন মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেপ্তারে সময় লাগছে বলে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান। এবিষয়ে এম এইচ ইউসুফ জানান,মামলাটির মিথ্যা সকল ঘটনায় মিথ্যা। এসব নাটক, নাটক যে কবে বন্ধ হবে তা আল্লাহ ছাড়া কিছু জানেন না।