আল-আমিন, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের মামলায় বগাকৃষ্ণপুরের মকবুল হোসেন নামের এক চিহ্নিত ইভটিজারকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ । পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় । জামিনে বেরিয়ে এসে ঐ ইভটিজার আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং যেকোন সময় গৃহবধূকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে ভোক্তাভোগী জানান । এঘটনাতেও থানায় জিডি হয়েছে । এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী নিলুফা বেগম (৩০) তার ছয় বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে পিত্রালয় ফুলবাড়িয়ার বগাকৃষ্ণপুর এলাকায় বসবাস করেন । স্থানীয় বগাকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা বখাটে ও চিহ্নিত ইভটিজার মোকসেদ আলীর পুত্র মকবুল হোসেন (৪০) ও তার সহযোগী বাদিহাটি গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র আব্দুল বারেক গত ১৯ জুন বাড়িতে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে নিলুফা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় । নিরুপায় নিলুফা নিজের সম্ভ্রম রক্ষায় ডাক চিৎকার দিলে, আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন । এঘটনায় ৩০ জুন নিলুফা বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় মকবুল হোসেনকে ১নং আসামি এবং সহযোগী আব্দুল বারেককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং ৩৭ । মামলার প্রেক্ষিতে ফুলবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই ) মোকতাদেরুল হাসান খান অভিযান পরিচালনা করে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহের আদালতে সোপর্দ করে । বিজ্ঞ আদালতের হাকিম মকবুল হোসেনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন । তৎপরবর্তীতে মকবুল হোসেন আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আরো হিংস্র হয়ে উঠে । ২নং আসামি অর্থাৎ তার সহযোগী আব্দুল বারেককে সাথে নিয়ে আবারও প্রবাসীর স্ত্রী নিলুফা বেগমের পিত্রালয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের হুমকি দেন এবং মামলার স্বাক্ষী তার মামাকেও খুন জখমের হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এঘটনাতেও ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার নিলুফা বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি জিডি করেন । জিডি নং ১১৫ তাং ৩/৮/২১। অভিযোগ রয়েছে , মকবুল হোসেনের দৌরাত্ম্যে এলাকায় মেয়েরা সর্বদা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন । অভিভাবকরা থাকেন মকবুল ও তার সহযোগীদের ভয়ে । মেয়েদের ইভটিজিং ও ধর্ষণ চেষ্টার অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে । ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা রয়েছে । এই ইভটিজারদের অত্যাচার , অব্যাহত হুমকি ধমকি ও আবারও ধর্ষণ চেষ্টার কবলে পড়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। নিলুফা বেগম অভিযোগ করে বলেন, থানায় দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী আমার মামাসহ স্বাক্ষী ও পরিবারের লোকজনকে অব্যাহত হত্যার হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা ও জিডি হয়েছে । তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।