ফেনী প্রতিনিধি:
চলতি বছরে শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর জানুয়ারী মাসের অর্ধেক গেলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি। বিভিন্ন শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থী যতগুলো বই পাওয়ার কথা, তার চেয়ে কম বই পেয়েছে। মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বই কিছু পেলেও ৭ম শ্রেণির বই এসেছে আংশিক। ১২টি বইয়ের স্থলে শুধু মাত্র ৩টি করে বই দেয়া হয়েছে।
নতুন বই দেওয়ায় পিছিয়ে আছে প্রাক-প্রাথমিক স্তরও। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একটি বই পাওয়া গেছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ৩টি করে বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুরো উপজেলা জুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ ও কিন্ডারগার্টেন ১৮ টি ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কিন্ডারগার্টেন সহ ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা রয়েছে ৭ টি সহ উপজেলায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর মাদ্রাসা রয়েছে ৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে ২১ হাজার শিক্ষার্থী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের। আর ৯ হাজার রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষার্থী।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ প্রতিষ্ঠানের ৯ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বই বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কাল থেকে বাকি অংশ বিতরণ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্সীরহাট আলী আজম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, তৃতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে উঠেছি। জানুযায়ী মাসের ১ তারিখ রোববার বই নিতে স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ৬টি বইয়ের পরিবর্তে ৩টি বই দেয়া হয়। আর বই কবে নাগাদ দেবে সেটা শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাননি। তবে ওই তিন বিষয়ে তাদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সীরহাট আলী আজম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম বলেন, ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে প্রতিটিতে ৪৫-৫০ এর মধ্যে। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০। তন্মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ১টি করে পাওয়া গেছে। কিন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৬টি বইয়ের মধ্যে তিনটি করে বই পাওয়া গেছে। আর যেসব বিষয়ে বই এখনো পাওয়া যায়নি, এজন্য সাময়িক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এটা অস্বিকার করার কিছু নেই বলে জানান এই প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সানাউল্লাহ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান উপজেলার ২১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭ টি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ১১ হাজার শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ বই বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মাসেই বই পাওয়া যাবে।