স্টাফ রিপোর্টার
পৌর শহরের মধ্যে আধুনিক সুবিধা পেতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বরগুনা সদর উপজেলা পোটকাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বদলী বাগিয়ে নিয়েছেন কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ শিক্ষিকাকে নিয়ে বদলি বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
ফেরদৌসীর আবাসস্থল থেকে তার আগের কর্মস্থল পোটকাখালি সরকারি বিদ্যালয়টির দুরত্ব তিন কিলো মিটারের বেশি নয়। অথচ তিনি বদলির আাবেদনে উল্লেখ করেছেন তার বাসা থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রকৃত দুরত্বের কয়েকগুন বেশি। এ ধরনের মানবিক আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে পৌরসভার কলেজিয়েট স্কুলে বদলি করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বদলী পেতে ফেরদৌসী কয়েকজনকে আগেই ম্যানেজ করেন ভিন্ন পন্থায়।
এ ব্যাপারে ফেরদৌসি নিজেই বলেছেন, তিনি আগেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে রেখেছিলেন। অথচ কিছুই জানেন না পোটকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের বদলি আবেদন এখন অনলাইনে করা হয়। ফেরদৌসি তার আবেদনে কি উল্লেখ করেছেন তা তিনি অবহিত নন।
অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, এখানে পৌরসভার বিষয় নন, ফেরদৌসির বাসা থেকে স্কুলের দুরত্ব বিবেচনার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বলেছিলেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শওকত আলী খান হিরণ বলেন, স্কুলের দূরত্ব দুই তিন কিলোমিটার ব্যবধান হলে, তাদের নির্দেশনা আছে, সেটা যেন বিবেচনা না করা হয়। কিন্তু ১০- ১২ কিলোমিটার হলে সেটি মানবিক বিবেচনায় আনা হবে।
এদিকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবেদনকারির আবেদন প্রথমে যায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পাঠান শিক্ষা অধিদপ্তরে। সেখান থেকে জেলা শিক্ষা অফিসার অথ্যাৎ আমার কাছে আসে। এছাড়া ফেরদৌসির ওই আবেদন ও বদলী কালীন সময়ে আমি এখানে ছিলাম না। তার পরেও ফেরদৌসীর মিথ্যা কিংবা ভুল তথ্যে বদলীর বিষয়টি পূণরায় তদন্ত করে দেখা হবে।