বগুড়া প্রতিনিধিঃ
দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে আনলিমিটেড সময়ের জন্য ক্ষমতায় বসায়নি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আপনারা কতদিনের মধ্যে সংষ্কার এবং কত দিনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন সেটা জাতির সামনে পরিস্কার করতে হবে। সেই সাথে গণহত্যা, লুটপাট, জুলুম-নির্যাতনের সাথে জড়িত ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি সোমবার সকালে বগুড়া শহর জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গণহত্যার নির্দেশদাতা হাসিনা জনরোষের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তার নির্দেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। যারা এখনো উঁকি ঝুঁকি মারছে তাদের জেনে রাখা উচিৎ আওয়ামীলীগ আর কখনো দেশের রাজনীতিতে আসতে পারবেনা। দেশের মানুষ গণহত্যাকারীদের আর কখনোই রাজনীতিতে প্রবেশ করতে দিবেনা।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বিগত ১৬ বছরে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের ঘরে ঘরে এই টাকা জমা আছে। তারা চুরি করা টাকায় অনলাইন এ্যাক্টিভিষ্ট ভাড়া করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিষ্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করেছে। কিন্তু একজন কর্মিও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। অথচ শেখ হাসিনা ও তার দোসররা জনরোষের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগষ্ট একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে বিপ্লব বলা যায় না। এখনো দেশের সামগ্রিক পরিবর্তন হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে তিনি সুন্দর, সুখী-সমৃদ্ধশালী, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দূর্নীতিমুক্ত ইনসাফপূর্ন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
শহরের কলোনীস্থ শাহওয়ালী উল্লাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার নবনির্বাচিত আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরার সদস্য ও বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রহিম, বগুড়া জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার।
অন্যান্যের মাঝে শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, সেক্রেটারি অধ্যাপক আ,স,ম আব্দুল মালেক, এ্যাড. রিয়াজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে একই ভেন্যুতে পৃথক পৃথক ভাবে শহর জামায়াতের মহিলা রুকন এবং জেলা জামায়াতের পুরুষ ও মহিলা রুকনদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে চার হাজারেরও অধিক রুকন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে শহর ও জেলা মজলিসে শূরা সদস্য নির্বাচন করেন।