বিশেষ প্রতিনিধি
‘মানুষের জন্য নদী’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বিশ^ নদী দিবসে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) বগুড়া জেলা শাখা ও টিম ফর এনার্জি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্স(তীর)এর যৌথ আয়োজনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতমাথায় এক মানববন্ধন কর্মসূচী এ্যাড. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহনে মানববন্ধন অণুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিশ্ব নদী দিবস-২০২১ এর গুরুত্ব তুলে ধরেন বাপা বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ রেজাউল হাসান রানু,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সাধারন সম্পাদক সাঈদ সিদ্দিকী, প্রগ্রেস গ্রæপের চেয়ারম্যান রোটাঃ মোস্তাফিজার রহমান, এ্যাড. আশরাফুন নাহার, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, বাপার সদস্য ও নাট্যকর্মী নিভা রানী সরকার পূর্ণিমা, জাকিয়া সুলতানা,তীরের সভাপতি মোঃ রাকিবুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিফাত হাসান। মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন শেখ মোঃ আবু হাসানাত, সহযোগী অধ্যাপক ফজলে বারী রতন, এটিএম আহসান তালুকদার রঞ্জু, মোঃ জাহেদুর রহমান, এম ফজলুল হক বাবলু, আবুল হাসানাত খসরু, মোঃ মোখছেদ আলী, শাহান-ই-জেসমিন, কানিজ রেজা, সৈয়দা তাহমিনা পারভিন শ্যামলী, মোঃ আতিকুর ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও তীরের সদস্যরা। বক্তারা বলেন বাংলাদেশের অসংখ্য নদীর মধ্যে অন্যতম নদী করতোয়া। যে নদী এক সময় ছিল ¯্রােতবহুল। জেমস রেনেলের মানচিত্র অবলোকন করলে দেখা যায় এ নদীর প্রবাহ ছিল বেগবান ও আকৃতিতে বৃহৎ। অথচ সময়ের বিবর্তনে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে দ্রæত নগরায়ণ,জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের অপরিনামদর্শী কর্মকান্ড ও অবৈধ দখল দারিত্বের ফলে করতোয়া নদীর উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। সচল, সজীব, নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে প্রতীক করতোয়া এখন হয়ে উঠেছে শ্রীহীন, মৃতপ্রায় ও স্থবির। স্বচ্ছ জলপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ার কারণে নদীতে পলি দ্রæতহারে জমছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ, বিপন্ন হচ্ছে মানুষ। বগুড়াকে বাঁচাতে হলে করতোয়া নদীকে করতে হবে বেগবান। মানববন্ধন থেকে জেলা প্রশাসনের নিকটে করতোয়াসহ বগুড়ার সকল নদীর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা, নদীর জায়গায় দখল করে থাকা সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও বালি উত্তোলন বন্ধে জোরালো দাবী জানানো হয়। সেই সাথে করতোয়া নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে আদালতের আদেশ দ্রæত বাস্তবায়ন দেখতে চায় সমগ্র বগুড়াবাসী।