মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা। সবুজের নিসর্গে ভরা ৩৯টি চা বাগান ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য হাইল হাওর, বিল আর ছড়া। আর সেখানে রয়েছে দেশি- বিদেশি পাখির অভয়ারণ্য। এসবের মাঝেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বধ্যভূমি ৭১। ঈদের টানা ছুটিতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ‘বধ্যভূমি ৭১’ আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিতে ২০১০ সালে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পর থেকে দর্শনার্থীদের ভীড় এখানে উপচে পড়ছে।
এছাড়াও প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন বধ্যভূমি দেখতে। ৭ মে বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সকল বয়সের পর্যটকদের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হয়ে বধ্যভূমি এলাকা। শ্রীমঙ্গলে শহরের ভানুগাছ সড়কে বিজিবি’র সেক্টর হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন বটকুঞ্জের নিচ দিয়ে প্রবাহিত ভুরভুরিয়া ছড়ার পাশে এর অবস্থান। সম্প্রতি এখানে পর্যটকদের সুবিধার্থে নির্মিত হয়েছে ‘সীমান্ত ৭১ ফ্রেশ কর্নার’সহ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’। শহীদদের নামের তালিকার প্রদর্শনী। ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ ও একাত্তরের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমিটি দেখতে মানুষ আসতে থাকেন এখানে। বর্তমানে এ স্থানটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বধ্যভূমি এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনে অনেক কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চলমান রয়েছে অনেক কাজ বলে জানা যায়। মেধাবী ছাত্র রাহাত আহমদ শিপন বলেন, আমি এই জায়গা অনেক বার এসেছি মন ভরেনা তাই বার বার আসি। অসাধারণ একটি জায়গা বধ্যভূমি ৭১। মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ বলেন- অসাধারণ একটি জায়গা এখানে আসলে মনটা ভরে যায়, তবে বীর শহীদদের কবর অরক্ষিত থাকায় অনেক পর্যটকরা জুতা পায়ে কবরে উঠতে দেখেছি যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রইলো শহীদদের কবর এরিয়া যেন কাটা তার দিয়ে হলেও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।