কামাল হোসেন, নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণা জেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে কলমাকান্দা দুর্গাপুর ও নেত্রকোণা সদরের কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। উপজেলা ২টি ও কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের সবগুলি বাড়ীতে বন্যার পানি ঢুকেছে এবং পুকুর ফিসারী সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। খালিয়াজুরী সদর আটপাড়া ও বারহাট্টা লাখ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। জেলার সঙ্গে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের সড়কপথ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৬টি উপজেলার ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলার খালিয়াজুরীতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ১০৪ সদস্যের একটি দল রোববার ১৯শে জুন থেকে কাজ করবে। জেলার ১০ উপজেলায় ১৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেন জানান তিনি। বন্যা দুর্গত এলাকা এরই মধ্যে ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৬০ মেঃ টন জি.আর চাউল ও নগত আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অঞ্জনা খান মজলিশ। তাছাড়া তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্গাপুর কলমাকান্দা সব এলাকায় পানি থৈ থৈ করছে। ভেসে গেছে প্রায় ৩০০০ পুকুরের মাছ। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত জানান, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোণার কংশ, সুমেশ্বরী, উব্দাখালী, ধনুসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।