বিশেষ প্রতিনিধি
নিজেদের আওয়ামীলীগ,যুবলীগ নেতা দাবি করে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ সরকারী কর্মচারীদের,ওয়াক-আপ স্টাফ কোয়ার্টার। কতিপয় প্রভাবশালীর যোগসাজশে সরকারি কোয়ার্টারের মধ্যে গাড়ির গ্যারেজ বানিয়ে ড্রাইভার ও গাড়ির স্টাফদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। এসব বখাটে কোয়ার্টারের বাসিন্দারা মেয়েদের ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াক-আপ স্টাফ কোয়োর্টারে ৩৬০টি পরিবার বসবাস করেন। এখানে কমপক্ষে একশ বহিরাগত লোকজন ঢুকে তাদের দখলে নিয়েছে প্রায় শতাধিক কোয়ার্টার। সিকিউরিটি গার্ড, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু নেতা এখানে বসবাসকারী মেয়েদের প্রতিনিয়ত ইভটিজিং করে এবং বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। এছাড়াও তারা মাদক ব্যবসা, দাঙ্গা- হাঙ্গামায় জড়িত।
তাদের হট্রগোলে কোয়ার্টারবাসীর একরকম আতঙ্কের মধ্যে কালাতিপাত করছেন। নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটি গার্ড কর কমিশনে কর্মরত রিপন, কৃষি মন্ত্রণালয় খামারবাড়িতে কর্মরত দুলু, সভাপতি দুলাল ও তাদের সহযোগীরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে কোয়ার্টারে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীদের। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে, আওয়ামীলীগ নেতা মৃদুল ও আলম । এতে আতঙ্কে বাসিন্দারা। গাড়ির গ্যারেজ যেখানে মৃদুল আর আলমের আড্ডাখানা। ড্রাইভার ও পরিবহরণ স্টাফরা এখানে ঘাঁটি গেড়েছে। এরা কোয়ার্টার ভাড়া দিয়ে রমরমা ভাড়া বাণিজ্যে লিপ্ত। প্রকৃত কোয়ার্টার বাসিন্দারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশান্তির মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন ।
মৃদুল ৪০,আলম ৩৮,জামাল ৪০ নম্বর বিন্ডিং দখল করে আছেন। তারা কয়েকদিন আগে ৩৫ নম্বর বিন্ডিং এর তিনতলার দখলে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ জমা হয়েছে দুর্নীতিদমন কমিশনে। তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কর কমিশনে কর্মরত রিপন জানান, আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না,দুলু ভাই সব জানে। কৃষি মন্ত্রণালয় খামারবাড়িতে কর্মরত দুলু জানান,সকল নিয়মমাফিক মেনে কোয়ার্টার দেয়া হয়েছে, এখানে অনিয়মের কোন বিষয় নয়।