অনলাইন ডেস্ক: ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে উত্তরণের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের জন্য চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে। ইইউর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাতে এ আশ্বাস দিয়েছেন।মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শর্ত ও মানদণ্ড বজায় রাখতে পারলে ২০২৬ সালের পর থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে নতুন পরিচয় লাভ করবে। তার আগ পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ঢুকতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সময় চলছে। উন্নয়নশীল দেশ হলে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে। বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। কিন্তু এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে এতোদিন উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশ পাচ্ছিল তার অনেক কিছুই বাদ পড়তে পারে।
করোনা মহামারিতে গত দেড় বছরে অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ। বিষয়টি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলো যেন ২৬ সালের পরও সব সুবিধা চালু রাখে সেজন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে সরকার। ইইউ দূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর আজকের বৈঠকে সেই বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে; সেজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরবর্তী ১২ বছর এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চেষ্টা চালাচ্ছে। এলডিসি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজন্য বাংলাদেশের পক্ষে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। এছাড়া এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রপ্তানি বাণিজ্যে সুবিধা আদায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। বাণিজ্য ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশকে দেওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অব্যাহত থাকবে।বাংলাদেশে চার বছর দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি চমৎকার ও সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আগামী দিনেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।বৈঠকে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।