বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়ীখালী ইউনিয়নের আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামে ঠাকুর পুকুরপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগেরদু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকিরগ্রপের সাথে আনিস মাঝি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীনগুরুতর আহতরা হলেন, কামরুল শেখ (৩০), আনিস মাঝি (৪৮), ইউনুস মাঝি (৫২) ও হাসিব মাঝি (৩৫)।
অন্য আহত ইউপি সদস্য মো. গিয়াসউদ্দিন ফকির (৪৫), আজাহার শেখ (৫৫), হাসমত শেখ (৫৪), রেজাউল শেখ (৩০), রুহুল আমিন (৬৫), শাহাবুদ্দিন (৩০) ও হুরাইরা মাঝিকে (১৮) রামপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার পেড়ীখালী ইউনিয়নের আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামে রবিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আনিস মাঝি গ্রুপের লোকজনপেড়ীখালী ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকির গ্রুপের সদস্য সাইফুলকে আটকে রাখে। এখবর জানতে পেরে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিনফকিরসহ তার লোকজন সাইফুলকে উদ্ধার করকে গেলে আনিস মাঝি গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসময়েস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকিরসহ তার গ্রুপের কামরুল শেখ, আজাহার শেখ, হাসমত শেখ, রেজাউল শেখ, রুহুল আমিন, শাহাবুদ্দিন আহত হয়। এসময়ে আনিস মাঝি গ্রুপের প্রধানসহ তার গ্রুপের ইউনুস মাঝি, হাসিব মাঝি হুরাইরা মাঝি আহত হয়।পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে রামপাল হাসপাতারে পাঠানো হয়। এদেরমধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেড়ীখালী ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী আনিস বাহিনীর সদস্যরা। আনিস বাহিনীর সদস্যরাআমিসহ আম্র ৭জনকে কুপিয়েছে। কামরুলের পেটে কুপিয়ে ভূড়ি বের করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। আনিস মাঝি জানান, সাইফুলকে উদ্ধারে গেলে মেম্বার গিয়াস ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা লোহার রড, হাতুড়ি ও রামদাদিয়ে আমিসহ আমার চারজনকে মারপিট ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, দুই গ্রপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেনেয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোন পক্ষই মামলা করেনি। অভিযোগ পেলেআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।