মোঃ মোজাহিদুর রহমান, ফকিরহাট, বাগেরহাট
বাগেরহাট-খুলনা মোংলা ও মাওয়া মহা-সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল ফকিরহাটের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। তিন রাস্তার মোড়ের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও কার্পেটিং উঠে বড়বড় ট্রেম হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, সেখান থেকে চলাচল করলেই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভেঙ্গে যাওয়া স্থান গুলিতে মাঝে মধ্যে তাদের শ্রমিক দিয়ে ইট বালু বা কিছু পাথরের খোয়া দিয়ে জোড়াতালি দিলেও তা কোন কাজে আসছেনা। যে কারণে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। জানা গেছে, বাগেরহাট-খুলনা মোংলা ও ঢাকা-মাওয়া মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এর সুপরিচিতি রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মোংলা বন্দরে যেতে হলে এই মোড়ের উপর দিয়ে সকলকে যেতে হবে। শুধু তাই নয়, ঢাকা হতে খুলনা বা দেশের অন্যান্য স্থানে যেতে হলে এই মোড়ের উপর দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেই মোড়ের এমন শোচনীয় অবস্থা স্থানীয় জনগনকে রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে। এই বাসস্ট্যান্ডের তিনটি মোড়ের অধিকাংশ স্থানে পিচ বা কার্পেটিং উঠে বড়বড় ট্রেম হয়ে এমন ভাবে উচু হয়ে রয়েছে যে, কোন যানবাহন চালক মোড়ের উপর দিয়ে যেতে গেলে উচু ট্রেমের উপর তার চাকা উঠে যাচ্ছে। আর চাকা উঠে গেলে যানবাহনটি চালকের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় আব্দুল হালিম, মোঃ শামীম, সিরাজুল ইসলাম ও রাজু আহম্মেদসহ একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, ভারী ভারী ও বড়বড় যানবাহনের চাপের কারণে সড়কের অধিকাংশ স্থানের পিচ বা কার্পেটিং উঠে তা এক জায়গায় জড়ো হয়ে ট্রেমের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ট্রেমের কারণে প্রতিদিন ছোটবড় দুঘর্টনা ঘটেই চলেছে। বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে কিছু কিছু স্থানে তাদের শ্রমিক দিয়ে ইট বালু ও পাথরের খোয়া দিয়ে মেরামত করলেও তা কোন কাজে আসছেনা। তারা আরো বলেন, এই বাসস্ট্যান্ডে যানবাহনের যে প্রচন্ড পরিমান চাপ তাতে টেকসই ভাবে মেরামত করা না হলে ইট বালু বা সামান্য পাথরের খোয়ায় কোন কাজ হবে না। তারা অতিদ্রত টেকসই মেরামতের জোর দাবী করেছেন।