এস এম রাজু আহমেদ
বাণিজ্যিক সংগঠন আইন-২০২২ বাংলাদেশ গেজেট ১৩এপ্রিল-২০২২ তারিখে প্রকাশিত হলেও এই আইনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশ ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের অবৈধ সভাপতি এবিএম এরশাদ সিন্ডিকেট অসংখ্য ভুয়া ভোটার তালিকাযুক্ত করে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২এ আইনে বলা হয়েছে- কোন ব্যক্তি তাহার ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখিত শ্রেণীর ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীর এসোসিয়েশনের সদস্য হইতে পারিবেন না।
ভোটার তালিকার দিকে তাকালে মনে হয় না এই আইটি বাংলাদেশে কোন সরকার তৈরি করেছে। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যিক সংগঠন বিভাগ দেখভাল করার নিয়ম থাকলেও তাদের নীরবতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কারণ ক্যাবলস এসোসিয়েশনের সদস্যরা এসব বিষয়ে উল্লেখ করে তাদের কাছে অসংখ্য বার অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিথ্যা অভিযোগে ভিত্তিতে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের ২০১৯/২১ মেয়াদের কমিটি ৪ মাস ৯ দিন দায়িত্ব পালনরত থাকাবস্থায় মন্ত্রণালয় কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ২৮জানুয়ারী-২০২০ তারিখে প্রশাসক নিয়োগ করেন। যাহা বানিজ্য সংগঠন ম্যানুয়েল ১৯৬১ এর ১০ ধারার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। কিন্তু নিয়োগকৃত প্রশাসক সংগঠনের ১৫৪ জন সদ্যসের মধ্যে হতে মাত্র ১৮ জন সদস্যদের একটি ভোটার তালিকা সৃজনের মাধ্যমে ৩টি শূন্য পদ সহ ২১টি পদে নির্বাচন পরিচালনা করে ৩১জানুয়ারী-২০২১ এবিএম এরশাদ হোসেনকে সিলেকশনে সভাপতি নির্বাচিত করে ২০২১/২২ মেয়াদের কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
এদিকে সংগঠনের ১৫৪ জন সদস্যে মধ্যে ৫০ জন সদস্যের একটি অংশ সদস্য রিয়াদ হোসেনের নেতৃত্বে ২০ফেব্রুয়ারী-২০২১ তারিখে মন্ত্রণালয়ে এই নির্বাচন বাতিলের আবেদন সহ পূর্বের নির্বাচিত কমিটিকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় রিয়াদ হোসেনের সেই অভিযোগের কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। ফলে দীর্ঘ ৬ মাস অপেক্ষার পর রিয়াদ হোসেন আবারো মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগের আলোকে দীর্ঘ ১৬ মাস পরে মন্ত্রণালয় থেকে একটি শুনানি গ্রহণ করা হলেও অদ্যবধি কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় নাই। অথচ এবিএম এরশাদ হোসেন দুই বছর এসোসিয়েশনের দায়িত্ব পালনের অন্তরালে এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র ও বানিজ্য সংগঠন আইন-২০২২ লঙ্ঘন করে অসংখ্য লোককে এসোসিয়েশনের নতুন সদস্য করেন। আইনে বলা হয়েছে- কোন ব্যক্তি তাহার ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখিত শ্রেণীর ব্যবসা ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীর এসোসিয়েশনের সদস্য হইতে পারিবেন না।
এরশাদ হোসেন আইনটি লংঘন করে ২০২৩-২৪ মেয়াদের কমিটি নির্বাচনের চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। উক্ত ভোটার তালিকায় মীর নিজাম উদ্দিন, মোঃ আফতাব জাবেদ, আবু হযরত রানা সহ ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্সের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ৬৪জনকে ভোটার করা হয়েছে। উল্লেখ্য মোঃ আফতাব জাবেদ বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ এন্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েনের সভাপতি। তিনি এই সংগঠনের সদস্য হতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাহার নিজস্ব কোন ক্যাবলস ম্যানুফ্যাকচারার্স প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র। তিনি নাবিদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের চেয়ারম্যান